Daily News BD Online

এমপি আজীম হত্যার বিচার কোন দেশে?

 


ঝিনাইদহ-৪ আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের টানা তিনবারের সংসদ সদস্য মো. আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যা মামলার বিচারের স্থান নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত আইনজীবীরা। হত্যাকাণ্ড ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় হওয়ায় আইনজীবীদের অনেকেই বলছেন, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় ভারতেই হবে বিচার। তবে, সুপ্রিম কোর্টের অপরাধবিষয়ক আইনজীবীদের অনেকেরই দাবি, হত্যার শিকার ব্যক্তির নিজ দেশেই বিচার করা সম্ভব। এক্ষেত্রে হত্যার ষড়যন্ত্র দেশে সংঘটিত হওয়াই বড় যুক্তি।

দুই দেশেরই ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী, সাধারণত অপরাধ সংঘটনের স্থানে মামলার বিচার হয়। তবে, এমপি আজীম হত্যাকাণ্ডের যে ধরন তাতে প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী মামলার বিচার দুই দেশেই সম্ভব বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। ভিন্ন মতও রয়েছে আইনজীবীদের।


গত ১২ মে চিকিৎসার কথা বলে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানাধীন মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর আর ফেরেননি আজীম।

পুলিশ জানিয়েছে, ১৩ মে কলকাতার নিউ টাউন এলাকার সঞ্জিবা গার্ডেনসের একটি ফ্ল্যাটে আজীমকে হত্যা করা হয়। এরপর হাড় ও মাংস টুকরো টুকরো করে ফেলে দেওয়া হয়। ওই ফ্ল্যাটের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ও অন্য তথ্য বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশের পুলিশকে এ তথ্য জানায় কলকাতার পুলিশ।

এ ঘটনায় রাজধানী ঢাকার আগারগাঁও থানায় হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ মামলা করেন নিহতের মেয়ে। এছাড়া কলকাতার নিউটাউন থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। দুই মামলায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুই দেশের পুলিশ। গত ২৮ মে সঞ্জীবা গার্ডেনসের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে মরদেহের খণ্ডাংশ উদ্ধার করে কলকাতার সিআইডি পুলিশ। রোববার (৯ জুন) কলকাতার কৃষ্ণমাটি সেতু সংলগ্ন এলাকার বাগজোলা খাল থেকে কিছু হাড় উদ্ধার করে তারা। তবে এগুলো এমপি আজীমের কি না তা এখনো নিশ্চিত করেনি পুলিশ।

এখন মরদেহের খণ্ডাংশ ও হাড়ের ডিএনএ টেস্ট করে এমপি আজীমের মেয়ে বা ভাইয়ের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে, এটি কার শরীরের অংশ, আজীমের নাকি অন্য কারও?

অ্যাটর্নি জেনারেল যা বললেন
বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিন বলেন, ‘এখানে দুটো ঘটনা ঘটেছে। এক. এখান (বাংলাদেশ) থেকে অপহরণ করে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখে আমরা জানি যে, ওনার মেয়ে রাজধানীর আগারগাঁও থানায় অপহরণের মামলা করেছেন। তাকে এখান থেকে নিয়ে গেছে ভারতে। যদিও ওনার লাশ পাওয়া যায়নি কিন্তু হত্যা করা হয়েছে। তার সিসি টিভিসহ বিভিন্ন ক্যামেরায় ফুটেজ পাওয়া গেছে। সে ক্ষেত্রে প্রথমত এখানে বিচার হবে অপহরণ মামলার। আর পশ্চিমবঙ্গে হত্যাকাণ্ড হওয়ায় সেখানে হত্যার বিচার হবে।’


বাংলাদেশে হত্যার বিচার হওয়ার সুযোগ আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রের প্রধান এই আইন কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশ সরকারের অনুমতি নিয়ে সিআরপিসি আইন অনুযায়ী বিচারের চেষ্টা করা যেতে পারে।

পুলিশ প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, ভারতে গ্রেফতার হওয়া আসামিদের বাংলাদেশে আনা হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, অপহরণের মামলাটি এখানে হওয়ায় প্রয়োজনে আসামিদের নিয়ে আসা যাবে। এরপর যদি প্রমাণিত হয় যে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ করা হয়েছে, এটাও আলাদা অপরাধ হবে। ফলে বাংলাদেশের তদন্তকারী দল যেভাবে এগোচ্ছে, তাদের তদন্ত শেষে যে রিপোর্ট পাওয়া যাবে, তার ওপর নির্ভর করে বোঝা যাবে এখানে কী হবে। রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে আদালত সেভাবে ব্যবস্থা নেবেন।

‘যে দেশে হত্যা, সেখানে বিচার’
সাবেক আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, ‘এক জায়গায় ঘটেছে হত্যা, আমি আরেক জায়গায় বিচার করলাম তা হলে কিন্তু সুবিচার পাওয়া গেলো না। আমাদের দেশেও কিন্তু তাই হয়। যেখানে হত্যাকাণ্ড সেখানেই বিচার। গ্রামে হলে ওই থানায় এবং এটাই সঠিক।’


হত্যাকাণ্ড এক স্থানে হলেও দুই দেশের আসামি কিন্তু একই। হত্যার শিকার ব্যক্তি বাংলাদেশের একজন সংসদ সদস্য। তা হলে বিচার কীভাবে হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে সুপ্রিম কোর্টের এই সিনিয়র আইনজীবী বলেন, ‘আসামি যদি একই হয়, হত্যাকাণ্ড হোক আর যাই হোক কোথায় সংঘটিত হয়েছে আগে সেটা ঠিক করতে হবে। যদি দেখা যায়, সংঘটিত হয়েছে ইন্ডিয়ায়, তাহলে সেখানে। আর যদি বলে যে না হত্যাকাণ্ডটি পাকিস্তানে, তাহলে পাকিস্তানে, আর যদি বলা হয় বাংলাদেশে, তাহলে বাংলাদেশে।’

বাংলাদেশে এমপি আজীম হত্যার বিচারের কোনো সুযোগ আছে কি না জানতে চাইলে সাবেক এই আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে হত্যার ঘটনা না ঘটলে এখানে বিচার করাটা সঠিক হবে বলে আমি মনে করি না। বিচার হলে বেআইনি নয়, কিন্তু এটা সঠিক হবে না।’

‘দেশেই সম্ভব হত্যার বিচার’
এমপি আজীম হত্যার বিচার প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট এসএমএ সবুর  বলেন, ‘মামলার আসামিদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম হত্যার পরিকল্পনা বাংলাদেশ থেকেই শুরু। খুন হওয়া ব্যক্তি ও আসামিদের বেশির ভাগ বাংলাদেশি হওয়ায় এর বিচারও এ দেশেই সম্ভব। কন্সপিরেসিটা এখানে হয়েছে। বাংলাদেশে কন্সপিরেসির অংশ হিসেবে সিকোয়েন্সটা ওখানে, ফলাফলটা ওখানে। অতএব এর বিচার বাংলাদেশে হবে। এর ভেতরে কোনো হেজিটেশন নেই।’


অ্যাডভোকেট এসএমএ সবুর বলেন, ‘এই সুনির্দিষ্ট মামলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিচার করার দাবিটা করতে পারে। কারণ ভিকটিম ও আসামি বাংলাদেশের। মেইন কজ অব অ্যাকশন বাংলাদেশেই উদ্ভূত হয়েছে। শুধু ঘটনা সংঘটিত হয়েছে ভারতে। অর্থাৎ ঘটনা পরিণতি লাভ করেছে ভারতে।’ সুতরাং বাংলাদেশ সম্পূর্ণভাবেই এ অপরাধের তদন্ত ও বিচার করতে পারবে বলে মনে করেন তিনি।

জামা-কাপড়ও হতে পারে হত্যার আলামত

বাংলাদেশের সংসদ সদস্যকে অপহরণ করে ভারতে নেওয়া হয়েছে, এটা আসামিরা স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। কিন্তু তার লাশ পাওয়া না গেলে বিচারের প্রক্রিয়া কী হবে জানতে চাইলে অ্যাডভোকেট এসএমএ সবুর বলেন, ‘এমপি আনোয়ারুল আজীমের মরদেহ বা লাশ না পাওয়া গেলেও তার ব্যবহৃত জিনিসই আলামত হিসেবে জব্দ হবে। লাশ না পাওয়া গেলেও যদি ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত কোনো আসামির স্বীকারোক্তিমূলে পাওয়া যায় তা হলে ধরে নিতে হবে তিনি হত্যার সঙ্গে যুক্ত। আলামত হিসেবে জামা-কাপড় পেলে এবং শরীরের অংশ পেলে তার কন্যা ও ভাই আছে, তাদের সঙ্গে জিনগত মিল হলেই বোঝা যাবে তা এমপি আনোয়ারুল আজীমের কি না।’

‘এছাড়া বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যে কোনো ধরনের অপরাধ সম্পর্কিত বিষয়ে পারস্পরিক সহায়তার লক্ষ্যে একটি চুক্তি রয়েছে। এই চুক্তির অধীনে দুই দেশই এই হত্যা মামলার বিচার করতে পারে।’ বলেন অ্যাডভোকেট সবুর।

‘বিচার অবশ্যই ইন্ডিয়ায় হতে হবে’
আনোয়ারুল আজীম হত্যার বিচার প্রশ্নে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এম সাঈদ আহমেদ রাজা  বলেন, ‘এ হত্যাকাণ্ডের বিচার অবশ্যই ইন্ডিয়ায় হতে হবে। কারণ ইন্ডিয়ায় যত হত্যাকাণ্ড হয় সেগুলো ইন্ডিয়ায়ই বিচার হয়।’

উদাহরণ টেনে সাঈদ আহমেদ রাজা বলেন, ‘যেমন ধরেন আমরা যখন ইন্ডিয়ায় লেখাপড়া করেছি তখন সেখানে এক রুশ নারীকে হত্যা করা হয়। এটা ছিল ব্যাঙ্গালুরুতে ১৯৯৩-৯৪ সালের দিকে। যদিও রাশিয়ার সঙ্গে ইন্ডিয়ার বন্দি বিনিময়সহ অনেক ধরনের চুক্তি রয়েছে। পার্টিকুলার মার্ডারটি বাংলাদেশি, পাকিস্তানি, শ্রীলঙ্কান এনি আদার কান্ট্রি এটা কোনো বিষয় নয়। ইন্ডিয়ায় যে মার্ডারটি হয়েছে সেই মার্ডারের বিচার ইন্ডিয়ায়ই হবে।’

এক সঙ্গে দুই দেশে বিচার হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে সাঈদ আহমেদ বলেন, ‘দেখেন, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত যে মামলাটি সেটি অপহরণের মামলা। মারার জন্য অপহরণ মামলাটি যদি জোর করে দায়ের করা হয়, করতে পারে। কিন্তু আমার কথা হলো মার্ডার কোথায় হয়েছে? বডিটা (লাশ) এখনো কী অবস্থায় আছে? ডেথ সার্টিফিকেটটা কোন দেশের আইনে কোথা থেকে ইস্যু করা হচ্ছে? আমরা কিন্তু এ অবস্থায় আছি।’

‘সব ফরেনসিক (বৈজ্ঞানিক প্রমাণ) প্রমাণ পেতে কাজ করছে ইন্ডিয়া। অলরেডি সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট ফরেনসিক রিপোর্ট তৈরি করে ওয়েস্ট বেঙ্গলের হাতে দিয়েছে, ছয়টা ডিফারেন্ট স্টেইজে। নতুন নতুন বিষয় সামনে আসছে। এগুলো তো বাংলাদেশে আসতে পারে না যে বাংলাদেশ এগুলোর বিচার করবে।’

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের বিষয়ে তুলে ধরে সাঈদ আহমেদ আরও বলেন, ‘এখানে সীমান্তে ক্রস বর্ডার অফেন্স হয়ে থাকে। কোনো বর্ডারের অফেন্সে কেউ আজ পর্যন্ত বলতে পারবে যে ইন্ডিয়ায় অফেন্স সংগঠিত হয়েছে বাংলাদেশে এনে বিচার করা হয়েছে? বা বাংলাদেশে অফেন্স হয়েছে, বিচার ইন্ডিয়ায় হয়েছে?’

বন্দিবিনিময় চুক্তি
আইনজীবীরা জানান, বাংলাদেশে ২০১২ সালে ‘মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিসটেন্স ইন ক্রিমিনাল ম্যাটারস অ্যাক্ট’ নামে একটি আইন পাস করা হয়। এর অধীনে একটি নীতিমালাও করা হয়। এছাড়া এ আইনের অধীনে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক কনভেনশনও আছে। যার আওতায় দুই দেশ ফৌজদারি মামলায় বিচারাধীন বা দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বিনিময় করার সুযোগ পায়।

ওই চুক্তির ফলে ভারতের কোনো নাগরিক যদি বাংলাদেশে কোনো অপরাধ করে বা শিকার হয় সেক্ষেত্রে ভারতেও এর বিচার হতে পারে। সেক্ষেত্রে যে কোনো ধরনের শারীরিক বা দালিলিক প্রমাণ, অভিযোগপত্র বা কোনো সাক্ষ্য এমনকি মৌখিক সাক্ষ্যও দেওয়ার প্রয়োজন হলে ভারত সরকার বাংলাদেশ সরকারের কাছে অনুরোধ করতে পারবে।

একই সঙ্গে, বাংলাদেশের নাগরিকরা যদি ভারতে কোনো অপরাধ করে বা শিকার হয় সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ মামলা করতে পারবে। এক্ষেত্রে যেসব দালিলিক বা বস্তুগত প্রমাণ আছে তা তাদের কাছে চাইতে পারবে বাংলাদেশ। চুক্তিতে বলা হয়েছে, এক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করবে দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

আইনজীবীরা বলেন, তদন্তকারী কর্মকর্তারা তদন্ত করছেন, সেখানে সিসিটিভির ফুটেজ, বস্তুগত যেসব প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে তাও বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে সংগ্রহ করতে পারবে। এই চুক্তির অধীনে ভারত এসব দিতে পারবে।

চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশের আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার প্রয়োজন হলে ভারত থেকে আসতে পারবেন সাক্ষীরা। মামলার সাক্ষী হিসেবে আলামত জব্দকারী কর্মকর্তা, তদন্ত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সবাই অথবা বিচারের স্বার্থে যাদের সাক্ষ্য দেওয়া প্রয়োজন তারা বাংলাদেশের আদালতে সাক্ষ্য দিতে পারবেন। তবে, কোনো কারণে সাক্ষীরা বাংলাদেশে আসতে না পারলে ভার্চুয়ালিও সাক্ষ্য নেওয়া যাবে। কারণ এখন বাংলাদেশ এভিডেন্স অ্যাক্ট পরিমার্জন করে ডিজিটালিও সাক্ষ্য নিচ্ছে। ফলে অনলাইনেও সাক্ষ্য নেওয়া যাবে।

যা বললেন সাবেক বিচারপতি
এমপি আনোয়ারুল আজীম হত্যা ও বিচারের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ‘বাংলাদেশ এবং ভারত দুই দেশেই সংসদ সদস্য হত্যার বিচার হতে পারে। আর দুই দেশে দুই ধরনের অপরাধের বিচার করলে আসামিদের শাস্তির আওতায় আনা সহজ হবে।’
‘তবে, হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী যেহেতু শাহীন, সে যদি যুক্তরাষ্ট্রে থাকে তাহলে বাংলাদেশ তাকে ফিরিয়ে আনতে পারবে না। কারণ আমাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বন্দি প্রত্যার্পণ চুক্তি নেই। কিন্তু ভারত তাকে ফিরিয়ে আনতে পারবে। সে হিসেবে এমপি আনোয়ারুল হত্যার বিচার ভারতে হলে ভালো হয়।’

সূত্র : জাগো নিউজ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন