নিহত আকলিমা বেগম সদর উপজেলার হুগড়া ইউনিয়নের ধুলবাড়ী গ্রামের ভ্যান চালক আব্দুল লতিফের স্ত্রী।
জানা যায়, গত ৬ জুলাই বিকেলে আমিনা বেগম পেট ব্যথা নিয়ে টাঙ্গাইল পৌর শহরের মুক্তা ক্লিনিকে ভর্তি হয়। পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তার পেটের পিত্তথলিতে পাথর আছে নিশ্চিত করেন চিকিৎসকরা। রোববার (৭ জুলাই) ডা. ফরিদ আহমেদের তত্বাবধানে আকলিমা বেগমকে অপারেশন করার জন্য অপারেশন থিয়েটারে পাঠানো হয়। অপারেশনের ৬ ঘণ্টা পরও যখন রোগীর জ্ঞান ফিরে না তখনি রোগীর সঙ্গে থাকা স্বজনদের সন্দেহ হয়। এ সময় স্বজনরা জানতে চাইলে ডা. ফরিদ জানান, অপারেশন টেবিলে রোগী স্ট্রোক করেছে তাকে রেফার্ড করতে হবে। এরপর ওইদিনই রোগীকে ঢাকা এনাম মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়।
নিহত আকলিমার স্বামী আব্দুল লতিফ বলেন, এনাম মেডিকেলের চিকিৎসা ব্যয়ভার আমার পক্ষে বহন করা সম্ভব না। এরপরও তারা এক প্রকার জোর করে এনাম মেডিকেলে পাঠায়। এনামে যাওয়ার সাথে সাথে রোগীকে আইসিইউতে ভর্তি করে তারা। পরে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) রোগীকে মৃত ঘোষণা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তার দাবি রোগী মুক্তা ক্লিনিকেই মারা গেছে। বাকিটা তারা নাটক সাজিয়েছে। আমরা ডা. ফরিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
এদিকে ক্ষিপ্ত হয়ে ক্লিনিকে হামলা ও ভাঙচুর করে রোগীর স্বজনরা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফা ঘটনাস্থলে আসেন এবং রোগীর স্বজনদের সুষ্ঠু বিচার পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিলে পরিবেশ শান্ত হয়।
এ বিষয়ে ডা. ফরিদের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
সদর উপজেলা চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফা বলেন, বুধবার বিষয়টি নিয়ে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বসা হবে।