ফেসবুক লাইভে এসে গ্যাস ট্যাবলেট (অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড) খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন রাসেল আহম্মেদ (৩০) নামে এক ব্যবসায়ী। মঙ্গলবার (২৭ মে) সকালে বগুড়ার ধুনট উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রাসেল আহম্মেদ ধুনট পৌর এলাকার পশ্চিম ভরণশাহী গ্রামের আবু তাহের ওরফে সোনা উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয় স্কুল মার্কেটে তার একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ছিল। তিনি পৌর এলাকার পশ্চিম ভরণশাহী গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। দক্ষিণ অফিসার পাড়ার ওই বাসায় তিনি ভাড়া থাকতেন। আত্মহত্যার সময় তিনি বাড়িতে একাই ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাসেল আহম্মেদ শহরের প্রথম সারির একজন ব্যবসায়ী। সুখেই চলছিল তার সংসার জীবন। ব্যবসায়িক কাজে চলতি মাসের প্রথম দিকে মালায়েশিয়ায় যান তিনি। সেখান থেকে ১৫ মে নিজ বাসায় ফিরেছেন। মূলত মালেয়শিয়া থেকে বাসায় ফেরার পরই পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে তিনি চরম হতাশায় পড়েন।
এ অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে পরিবারের সবার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ১০টার দিকে ভাড়া বাড়িতে ফিরে আসেন। এরপর ঘরের দরজা বন্ধ করে ফেসবুক পেইজে লাইভে এসে নিজের কষ্টের কথা বলেন। তিনি টানা ৫৪ মিনিট ৫৮ সেকেন্ড ফেসবুক লাইভে ছিলেন। এ সময় পরিবারকে মুক্ত করে দেওয়ার কথাও উল্লেখ করেন। লাইভে কথা বলার মাঝেই তিনি পরপর ২টি বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করে অচেতন হয়ে পড়েন।
এ সময় ফেসবুকে লাইভ দেখে তার আত্মীয়-স্বজন ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘরের দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বগুড়া সদর থানার এসআই ফিরোজ মিয়া জানান, এ ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর রাসেল আহম্মেদের মরদেহ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।