টানা তিন দিনের ছুটিতে পর্যটকমুখর হয়ে উঠেছে পর্যটন নগরী রাঙামাটি। শহুরে যান্ত্রিক কোলাহল ভুলে হ্রদ পাহাড় আর মেঘের মিতালি উপভোগ করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাঙামাটি ছুটে এসেছেন পর্যটকরা। রাঙামাটির উল্লেখযোগ্য পর্যটনকেন্দ্রগুলো এখন পর্যটকদের পদভারে মুখরিত।
ঝুলন্ত সেতু দর্শনের পাশাপাশি অনেক পর্যটক কাপ্তাই হ্রদের সৌন্দর্য উপভোগে নৌ বিহারে যাচ্ছেন। টুরিস্ট বোট নিয়ে সুবলং ঝর্ণা, বার্গি লেক ভিউ, বৌদ্ধ মন্দিরসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পটগুলোতে ভ্রমণে যাচ্ছেন তারা।
সিলেট থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক খোরশেদ আলম বলেন, রাঙামাটি হলো রুপের রানী। এই লেক পাহাড়ের সৌন্দর্য যেকোনো কাউকে বিমোহিত করে। তাই আমরা বন্ধুরা মিলে বেড়াতে এসেছি। খুবই ভালো লাগছে।
এদিকে একইরকম পর্যটকদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে আরেক উল্লেখযোগ্য পর্যটন স্পট পলওয়েল পার্কে। বিশেষ করে বিকেলে পর্যটকরা ভিড় করছেন এই বিনোদন কেন্দ্রে। কৃত্রিম ঝুলন্ত সেতু, দেশের একমাত্র লাভ পয়েন্ট ভ্রমণসহ কাপ্তাই হ্রদে কায়াকিং করছেন পর্যটকরা।
হোটেল মতিমহলের ব্যবস্থাপক চন্দন কুমার বর্মণ বলেন, ৩ দিনের ছুটির কারণে মোটামুটি পর্যটকরা রাঙামাটি বেড়াতে এসেছেন। আমাদের হোটেলে বর্তমানে ৭০ শতাংশ বুকিং রয়েছে। শহরের অন্যান্য হোটেলগুলোতেও ভালো বুকিং আছে বলে জানতে পেরেছি।
রাঙামাটি পর্যটন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, ৩ দিন সরকারি ছুটির কারণে রাঙামাটিতে বেশ ভালো পর্যটক এসেছেন। গতকাল আমাদের হোটেল-মোটেলের প্রায় ৯০ শতাংশ বুকড ছিল। আজ এবং আগামীকালও ৭০ শতাংশের মতো বুকিং আছে। এদিকে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২ হাজার পর্যটক ঝুলন্ত সেতু ভ্রমণ করছেন বলে জানান তিনি।