ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চুরি করে শসা খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে কয়েক ঘণ্টা যাবত সংঘর্ষ হয়েছে। এতে নারী, শিশুসহ অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১০ জুন) সকালে জেলার নাসিরনগর উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের শ্রীঘর গ্রামের দক্ষিণ পাড়ায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বাড়ির পাশে শসা চাষ করেছেন সরকার বাড়ির জুয়েল মিয়া। সেই শসা গত কয়েকদিন ধরে রাতের বেলায় কে বা কারা চুরি করে খেয়ে ফেলে। পরে বড় হাটির লোকজন কাজটি করেছে বলে দাবি করে তাদের কাছে শালিস চাওয়া হয়। কিন্তু তারা এতে নারাজ হয়ে সকালে সরকার বাড়ির ওপর হামলা চালায়। পরে তা এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পরে। এক পর্যায়ে তারা দেশি অস্ত্রসহ সংঘর্ষে জড়ায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। আহত অনেকেই নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ খাইরুল আলম বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল উপজেলার পাঠানপাড়া এলাকায় ফুচকা খাওয়ার পর টিস্যু না দেওয়ায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৫ জন।
সোমবার (৯ জুন) রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত এই সংঘর্ষ চলে। এ সময় সরাইল-নাসিরনগর আঞ্চলিক সড়কে কমপক্ষে দুই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল।
পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, সরাইল পাঠানপাড়া এলাকায় শিশুদের রাইডের জন্য কয়েকটি প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে। ঈদুল আজহা উপলক্ষে এই রাইডগুলোতে উপচে পড়া ভিড় ছিল। সেখানে ‘এরাবিয়ান ফুচকা হাউজ’ নামে একটি দোকানে কোট্টাপাড়া এলাকার রাব্বী নামে এক যুবক ফুচকা খান। খাওয়ার পর হাত মোছার জন্য তিনি টিস্যু চান। টিস্যু নেই জানালে এ নিয়ে দোকান মালিক মজিবুর পাঠানের সঙ্গে ওই যুবকের বাগবিতণ্ডা হয়। পরে ঘটনা হাতাহাতির পর্যায়ে চলে যায়।
এই খবর দুইজনের নিজ নিজ এলাকা কোট্টাপাড়া এবং পাঠান পাড়ায় ছড়িয়ে পড়ে। পরে দুই পক্ষ রাত ৮টার দিকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সরাইল-নাসিরনগর আঞ্চলিক সড়কের পাঠানপাড়া এলাকায় সংঘর্ষের লিপ্ত হয়। এ সময় সরাইল-নাসিরনগর আঞ্চলিক সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে সরাইল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে।
এ বিষয়ে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল হাসান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।