মোঃ নুর নবী জনি, ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ১৫ লক্ষ টাকা চাঁদার দাবির অভিযোগ উঠেছে নিষিদ্ধ সংগঠন কায়েতপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি ও একাধিক মামলার আসামি আরিফুল আলম দ্বীপের বিরুদ্ধে।
এই ঘটনায় নার্গিস আক্তার নামে এক নারী শুক্রবার সকালে রূপগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, বুধবার(২২ অক্টোবর) রাত আনুমানিক ৮টারদিকে উপজেলার চনপাড়া এলাকায় অবস্থিত নার্গিস আক্তার এর গ্যারেজে নার্গিস আক্তার ভাড়া চাইতে গেলে কৌশলে আরিফুল ইসলাম দ্বীপ ও তার পরিবার গ্যারেজের পাশে তার বাড়িতে নার্গিস আক্তারকে নিয়ে যায়। এ সময় নার্গিস আক্তার কে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে গালাগালি করে গ্যারেজ ভাড়া দিবে না বলে জানায়।
পরে নিষিদ্ধ সংগঠন ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম দ্বীপ নার্গিস আক্তার এর কাছে ১৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন, চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তাকে প্রাণনাশের ভয় ভীতি দেখান এবং নার্গিসের কাছ থেকে জোরপূর্বক ৩০০ টাকার স্টামে স্বাক্ষর নেন, পরে নার্গিস আক্তারের ব্যাগে থাকা যমুনা ব্যাংক স্টাফ কোয়ার্টার শাখার দুটি চেকসহ চেক বইটি ছিনিয়ে নেয় ।
পরে আরিফুল ইসলাম দ্বীপ নার্গিস আক্তার কে হুমকি দিয়ে বলেন, ১৫ লক্ষ টাকা দিয়ে আমার কাছ থেকে এই ষ্টাম ও চেক বই নিয়ে যাবেন,যদি টাকা না দেন তাহলে আপনার বিরুদ্ধে এই চেক এবং ষ্টামে ১৫ লক্ষ টাকা লিখে আদালতে মামলা করব ।
এ বিষয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, যুবলীগের ইউনিয়ন সহ সভাপতি আরিফুল ইসলাম দ্বীপ, বৈষম্য বিরোধী মামলার অন্যতম আসামি তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে, আরিফ ওই মামলায় জামিনে এসে আরো বেপরোয়া হয়ে আছে, অথচ তিনি একটি স্কুলের সামান্য দপ্তরি হয়ে এত অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে, তার খুঁটির জোর কোথায? বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর দোহাই দিয়ে নানা অপকর্ম করে বেড়িয়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে পাওয়া দপ্তরি চাকরি খানা এখনো কিভাবে বহাল থাকে?অনতিবিলম্বে তাকে চাকরিচুৎ করার জোর দাবি জানান এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত-পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।
