হাইকোর্টের আইনজীবীকে হত্যার চেষ্টা, থানায় অভিযোগ


এ.বি.এম.হাবিব :

রাইকালী বাজারে স্থানীয় লোকজনের অনুরোধে একটি শালিসী বৈঠকে উপস্থিত হলে কিছু বুঝে উঠার আগেই, হাইকোর্টের আইনজীবীর উপর হামলা চালায় কয়েকজন সন্ত্রাসীরা। এতে একজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,  হাইকোর্টের আইনজীবী ইমন মাহমুদ তার শশুড়বাড়ী জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার রাইকালী থেকে, নওগাঁয় দেশের বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা দিলে,রাইকালী বাজারে তার সমন্ধী রাশেদুজ্জামান অনুরোধ করে বলেন,রাইকালী বাজরের এক শালিশী বৈঠকে বসতে। তিনি তার কথা ফেলতে না পেরে,রাইকালী বাজারের বনিক সমিতির কক্ষে বৈঠকে বসেন। কিছুক্ষন পরে তিনি কিছুবুঝে উঠার আগেই প্রায় ৭/৮ জন সন্ত্রাসীরা তাকে হঠাৎ করে আক্রমণ করে। এতে তার সমন্ধী গোলাম রাব্বানী হ্যাপি বাঁধা দিলে সে গুরুত্বর আহত হন। এরপর বাজার কমিটির লোকজন মিলে আইনজীবী ইমনকে উদ্ধার করে এবং সন্ত্রাসীদের উপর চড়াও হলে, সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।  স্থানীয়রা জানান,৭/৮ জন সন্ত্রাসীদের মধ্যে,আলম,আলগীর,লিটন,ডবলু এই ৪জন এলাকার চিহ্নিত চিসকে সন্ত্রাসী। যারা এলাকায় সব সময় নেশাগ্রস্ত অবস্থায় থাকে। এরা এলাকায় ছোটখাট চুরি,চামারি সহ বেশীরভাগ যেকোন লোকের ভায়া হয়ে, টাকার বিনিময়ে মারামারীসহ এলাকায় বিভিন্ন ধরনের বেআইনি কর্মকান্ড করে থাকে। বাঁকীদের নাম পরিচয় এখনো পাওয়া যায় নাই। স্থানীয়রা জানান, ওরাই সাথে নিয়ে এসেছে,ওরাই সকলের নাম পরিচয় জানে। স্থানীয়রা বলেন,এদের বিরুদ্ধে যদি এখনি কোন প্রকার আইনগত ব্যাবস্থা না নেওয়া হয়,তাহলে আগামীতে এদের দ্বারাই বড় ধরনের আইনশৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার শতভাগ সম্ভাবনা রয়েছে। এ বিষয়ে মোজাম্মেল এর সাথে মোবাইলে কথা বললে,সে সাংবাদিকের পরিচয় শুনেই ফোন বন্ধ করে দেয়।

হাইকোর্টের আইনজীবী ইমন মাহমুদ বলেন, এই সন্ত্রাসীদের তিনি কোনদিন দেখেন নি বা চিনেন না। কেন তারা এভাবে তাকে আক্রমণ করলো, হামলা করলো,সেটিও তিনি জানেন না বা বুঝতে পারছেন না। হয়তো ভিতরে কোন গভীর ষড়যন্ত্র থাকতে পারে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, এখানকার স্থানীয়রা বলছে,মোহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন ও মোজাফফর হোসেন সন্টুর ছেলে পেলে এগুলো। তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলাটি করা হয়েছেিল, কিন্তু বনিক সমিতির সকলের প্রতিবাদ ও শক্তিশালী ভূমিকা নেওয়ার জন্য তা সফল করতে পারেনি। সন্ত্রাসীরা রাইকালী বনিক সমিতির লোকজনের কাছে স্বীকারও করেছে, মোজাম্মেল হোসেন ও মোজাফফর হোসেন সন্টু তাদেরকে টাকা দিয়ে হত্যার জন্য পাঠিয়েছে। 

হাইকোর্টের আইনজীবী ইমন মাহমুদ বলেন, তার সমন্ধীর প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়ার পর, আক্কেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করছেন। পুলিশ গভীরের বিষয় গুলো উদঘাটন করতে পারবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।

এ বিষয়ে আক্কেলপুর থানা অফিসার ইনচার্জ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন