মোঃ নুর নবী জনিঃ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মেঘনা নদীতে বিভিন্ন নৌযানে চাদাঁবাজীর সময় পুলিশ-চাদাঁবাজদের মধ্যে গোলাগুলি সংঘর্ষ ও টেটাবিদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে তিন পুলিশ সহ ৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে দুজনকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে উপজেলার মেঘনা নদীর নুনেরটেক এলাকায় নৌযানে চাদাঁবাজীর সময় পুলিশ-চাদাঁবাজদের মধ্যে গোলাগুলি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসীরা জানান, উপজেলার মেঘনা নদীতে দীর্ঘ দিন ধরে পাশ্ববর্তী কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার নলচর গ্রামের বারেকের নেতৃত্বে তার ছেলে মহসিন, হাসনাত, রানা, সাজ্জাদ সহ ২০/৩০ জনের একটি চাদাঁবাজ বাহিনী বালু ও মালবাহী বিভিন্ন নৌযানে চাদাঁবাজী করে আসছে।মঙ্গলবার সকালে বিভিন্ন নৌযান নুনেরটেক এলাকায় মেঘনা নদী দিয়ে যাওয়ার পথে বারেককের নেতৃত্বে টিটু, মহসিন সহ তাদের লোকজন টেটা, বল্লম, রামদা সহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নৌযানে চাদাঁ দাবী করে। এ সময় তাদের দাবীকৃত চাদাঁ না দেওয়ায় এমভি জয়নব বৃষ্টি পরিবহন বাল্কহেডের শ্রমিক মহিবুল্লাহ ও জাকারিয়াকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। পরে খবর পেয়ে বৈদ্যেরবাজার নৌ পুলিশ ফাড়ি ও চালিভাঙ্গা নৌ পুলিশ ফাড়ির সদস্যরা যৌথ অভিযান চালায়। এ সময় চাদাঁবাজরা পুলিশের উপর টেটা, বল্লম দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে তিন পুলিশ সদস্য এএসআই মাকসুদ, কনস্টেবল সোহাগ ও সাইদুরকে রক্তাক্ত আহত করে। পরে আত্মরক্ষার্থে পুলিশ সদস্যরা রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে এবং ঘটনাস্থল থেকে বারেকের ছেলে রানা ও সাজ্জাদকে গ্রেফতার করে। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বৈদ্যেরবাজার নৌ পুলিশ ফাড়িঁর ইনচাঁজ মাহাবুবুর রহমান জানান, দীর্ঘ দিন ধরে একটি চাদাঁবাজ চক্র মেঘনা নদীতে বিভিন্ন নৌযানে চাদাঁবাজী করে আসছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজ সকালে চাদাঁবাজরা বিভিন্ন বাল্কহেডে চাদাঁ উত্তোলনের বাল্কহেডরে শ্রমিকদের হামলা চালায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে চাদাঁবাজরা পুলিশের উপর হামলা করে তিন পুলিশ সদস্যকে আহত করে। এ সময় দুই চাদাঁবাজকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।