Daily News BD Online

দিনাজপুরে দুই শিশুর মারামারিতে তুমুল সংঘর্ষ ; আহত কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি


দিনাজপুর প্রতিনিধি :
দিনাজপুরে পবিত্র ঈদ উল ফিতরের দ্বিতীয় দিনে শহরের শশরা বৈরাগিদিঘী, দিনাজপুর গ্রামে ২ শিশুর মারামারিতে গ্রামের ক’জন পরিবার বাকবিতন্ডায় তুমুল সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে বাঁশ, রড এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর ফলে বেশ কয়েকজন এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
দিনাজপুর কোতয়ালী থানার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, পবিত্র ঈদ ফিতরের দ্বিতীয় দিনে দিনাজপুর শশরা এলাকার বৈরাগিদিঘী এলাকায় শিশুরা খেলা করছিল। খেলাধুলা করতে করতে শিশুরা একে-অপরকে মারধর করে। এক পর্যায়ে দিনাজপুর শশরা এলাকার বৈরাগিদিঘী গ্রামে মোঃ ওবাইদুল ইসলামের স্ত্রী মোছাঃ রুখসানা বেগমের বাড়িতে অতর্কিতভাবে দলবদ্ধভাবে প্রবেশ করে একই এলাকার মোঃ ওয়াজেদ আলীর পুত্র বাবু, মৃত-আইবুল্লাহর পুত্র মোঃ ওয়াজেদ, মোঃ ওয়াজেদ আলীর স্ত্রী নুরনাহার, মোঃ ওয়াজেদ আলীর কন্যা লায়লা বেগম, মোঃ বাবুর স্ত্রী দিলরুবা বেগমগংরা প্রবেশ করে ধারালো চাকু, ছোরা, হাসুয়া, বটি, বাঁশের লাঠি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মোছাঃ রুখসানা বেগম এবং তার ছেলে মোঃ আল ইমরান এবং ছেলের বৌ নুর আক্তারকে শিশুদের মারামারি এবং পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাদেরকে এলোপাথারি মারধর করে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদেরকে রক্তাক্ত জখম করে স্থানীয়রা আসলে তারা ঘটনাস্থল থেকে একটি স্বর্ণের চেইন নিয়ে পালিয়ে যায় এবং যাওয়ার সময় দেখে নেবার এবং প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। পরে এলাকাবাসীরা মোছাঃ রুখসানা বেগম এবং তার ছেলে মোঃ আল ইমরান এবং ছেলের বৌ নুর আক্তারকে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়। মোছাঃ রুখসানা বেগম এবং তার ছেলে মোঃ আল ইমরানের মাথায় কয়েকটি সেলাই করা হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তারা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন ছিল। এজাহার দাখিলের পর দিনাজপুর কোতয়ালী থানা পুলিশ উক্ত বাদীর সাথে যোগাযোগ করে খোঁজ-খবর নিয়েছেন।   
এজাহারের বাদী মোছাঃ রুখসানা বেগম বলেন, মোঃ বাবুর ভাই মোঃ জুলফিকার আলী হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর দুপুর আনুমানিক সাড়ে ৩টার দিকে কোতয়ালী পুলিশ কর্মকর্তা, মোঃ রবিউল এবং কৃষ্ণ ও মেডিকেল টিমের কয়েকজন পুলিশ সদস্যের উপস্থিতিতেই এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ভেতরেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মারধর করে মোঃ বাবুর ভাই মোঃ জুলফিকার আলীসহ অজ্ঞাত ৪/৫জন। ৩জন রোগী মারধরের পর তাঁর ভাই মোঃ রবিউল এবং তার স্বামী মোঃ ওবাইদুল ইসলামকে মারধর করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়।   
বাদী মোছাঃ রুখসানা বেগম আরো বলেন, আমরা হাসপাতালে ভর্তি হয়েও মারধরের শিকার হলাম। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার জীবনের নিরাপত্তাহীন ভুগছি। তিনি সরাসরি পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন