Daily News BD Online

লক্ষ্মীপুর রামগতি চর-সেকান্তর দুই-ভাইয়ের নেতৃতে প্রতিবেশির ওপর হামলার অভিযোগ


লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :
লক্ষ্মীপুর রামগতি উপজেলার চর সেকান্তর গ্রামে বিধান চন্দ্র দাস (৪০) ও পরাগ চন্দ্র দাস (৫০)  পিতা , মৃত অনপ্রিত দাস দুই ভাইয়ের অসামাজিক কর্মকান্ডে অতিষ্ট গ্রামের মানুষ । সাম্প্রতি এই দুই ভাইয়ের নেতৃত্বে ৫/৬ জন লোক হত্যার উদ্দ্যেশে সন্ত্রাসী কায়দায় রাতের অন্ধকারে প্রতিবেশি উত্তম চন্দ্র দাস , পিতা - মৃত দীন দয়াল দাস এর ওপর হামলা করার অভিযোগ ওঠে । সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, বিধান চন্দ্র দাস ও পরাগ চন্দ্র দাস দুই ভাই এলাকাতে বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকান্ডের সাথে লিপ্ত হয়ে পেশি শক্তি এবং অর্থের বলে প্রভাব বিস্তার করে । অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানাযায় , বিধান এবং পরাগ মিলে দীর্ঘদিন থেকে উত্তম দাসের সম্পত্তি জবর দখল করার চেষ্টা চালায়। বিষয়টি নিয়ে বারবার উত্তম দাসের ওপর তারা হামলা চালানোর চেষ্টা করে। বিষয়টি নিয়ে উত্তম দাস পৌরসভায় একটি মামলা করে । যাহা পরবর্তিতে আদালতে হস্তান্তর করা হয়। আদালতে মামলাটি চলমান থাকা অবস্থায় । রাতের অন্ধকারে দুই ভাইয়ের নেতৃত্বে হামলার শিকার হয় প্রতিবেশি উত্তম । ৩০ অক্টোবর ২০২২ রবিবার উত্তম দাস রাত সাড়ে ১০ টার দিকে কালেকশনের টাকা নিয়ে স্থানীয় বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে রামগতি পৌরসভার চর সেকান্দর এলাকায় ওঁত ফেতে থাকা ৫/৬ জন লোক দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে উত্তম দাসের ওপর হামলা চালায় । এসময় তাকে এলোপাথাড়ি মারধর শুরু করে । একপর্যায়ে হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে বেদম মারতে থাকে এবং দা দিয়ে মাথায় আঘাত করে । উত্তম চিৎকার করলে আশে পাশের লোকজন এসে তাকে উদ্দার করে প্রথমে রামগতি উপজেলা সাস্থ্যকম্পেøক্সে নিয়ে যায় (রেজিস্ট্রেশন নং ২৬২৩/১১) এবং পরে অবস্থার অবনতি দেখে নোয়াখালি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় (রেজিস্ট্রেশেন নং ৭২৩-৯/১)। সেখান থেকে একটু উন্নতির দিকে থাকলে তাকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এসময় তারা উত্তমের কাছে থাকা নগদ ১ লক্ষ ১৩ হাজার ৫৪০ টাকা , ১৪ হাজার টাকা মূল্যের একটি মোবাইল সেট  নিয়ে যায়। পরে চর সেকান্দর গ্রামের উত্তম দাসের ভাই বাসুদেব চন্দ্র দাস , পিতা - শ্রী হরি দাস বাদী হয়ে পরাগ চন্দ্র দাস, বিধান চন্দ্র দাস পিতা - মৃত অনপৃত দাস এবং শ্যামসুন্দর দাস পিতা- মৃত নরহরি দাস সহ আরো ৩ জনকে  অজ্ঞাত আসামী করে রামগতি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে । স্থানীয় সূত্রে জানাযায় তারা দীর্ঘ সময় এলাকায় বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত । তারা বলেন, বিধান এবং পরাগ টাকার জোরে সমাজের কোন মানুষকে মূল্যায়ন করেনা । এভাবেই তারা দিনের পর দিন প্রতিবেশিদের জমি জোর করে জবর দখলের চেষ্টা করে । কোন ধরণের আইন কানুন মানতে নারাজ ।
অভিুযুক্ত বিধান চন্দ্র দাসকে জিজ্ঞেস করলে তিনি অস্বিকার করে বলেন, উত্তম দাসকে রং মেরে ছবি তুলে আমাদেরকে মামলায় ফাঁসানো হয় ।  যেই দিন ঘটনা ঘটেছে সেই দিন আমি চর গজারিয়া আমার স্কুলে ছিলাম । এখন প্রশ্ন একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের রাত সাড়ে ১০ টার সময় কি কাজ থাকে নিজ কর্মস্থলে । এভাবেই নিজের অপরাধকে ঢাকা দিতে মিথ্যার আশ্রয় নেয় বিধানেরা । কিন্তু প্রতিবেশিরা বলেন ভিন্ন কথা। বিধানের নিজ বাড়ির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহিলা বলেন, গত কয়েক বছর আগে গাছ নিয়ে তর্ক করে বিধান চন্দ্র দাস , তাকে মারধর করে একপর্যায়ে তার কানের সমস্যা হয় আজো সেই কানের জন্য চিকিৎসা করতে হচ্ছে । এছাড়াও ২০২০ সালে জবর দখলের সূত্র ধরে রাতের অন্ধকারে পাশের বাড়ির বিপ্লবের ওপর হামলা চালায় । বিপ্লবের দোষ নিজের জীবন বাাঁচাতে সে কেন ? থানায় জিডি করলো । এভাবে আরো অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে ।
বিভিন্ন সূত্রে জানাযায়, একসময় বিধান তার নিজ স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যা করে। বিক্ষুব্দ হয়ে এলাকার বেশ কয়েকজন বলেন, জুয়া থেকে শুরু করে সব ধরণের অপকর্মের সাথে জড়িত এই বিধান এবং পরাগ । তারা বলেন, টাকার গরমে এরা কোন মানুষকে মানুষ হিসেবে মূল্যায়ন করেনা । তারা মানেনা কোন সালিশ বৈঠক। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করলেও অল্প সময়ে বের হয়ে আসে টাকার জোরে । এমন পরিস্থিতিতে এই দুই ভাই বিধান চন্দ্র দাস ও পরাগ চন্দ্র দাস এর ভয়ে এলাকাতে আতংক বিরাজ করছে। এই দুই-ভাইয়ের অত্যাচার থেকে মুক্তি চায় এলাকার নিরীহ মানুষ গুলো । সেই সাথে প্রশাসনের কাছে নিজের নিরাপত্তা চায় উত্তম চন্দ্র দাস ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন