Daily News BD Online

মান্দায় পি কে এ উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্যর অভিযোগ


এ.বি.এম.হাবিব :

নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার পারশিমলা (আবিধ্য পাড়া) কালু পাড়া, পি, কে, এ উচ্চ বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীর জনবল অবকাঠামোর ৪টি পদে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ সম্পূর্ন করার অভিযোগ উঠেছে। ওই প্রতিষ্ঠানের কমিটির সভাপতি গোলাম আজম ও প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

স্থানীয়রা জানায়, তাদের জোগসাঁজোসে,  নিয়োগের নামে প্রতিটি প্রার্থীর কাছ থেকে ১২লক্ষ থেকে ১৮লক্ষ টাকার বিনিময়ে এ নিয়োগ গুলো দেওয়া হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানের অফিস সহায়ক কাম হিসাব সহকারী পদে চাকুরী জন্য  আবেদন করেন মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান তিনি জানান,আবেদন করার পর ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক প্রতিষ্ঠানের অফিস কক্ষে ডেকে নিয়ে তার কাছে, চাকরী নিতে হলে ১৮ লক্ষ টাকা দাবি করেন। তিনি তাদের অযৌক্তিক দাবী করা টাকা দিতে অস্বীকার করে বলেন, এখানে মেধা হিসাবে চাকরি হবে এতো টাকা কিভাবে দেবো, এমন কথায় তারা অসন্তুষ্ট প্রকাশ করে।

চাকরির জন্য ভুক্তভোগী এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে জানা যায়, তারা তাদের পছন্দ মত প্রার্থীদের প্রতিটি পদের জন্য ১২ থেকে ১৮ লক্ষ টাকা আগে থেকে কন্ট্রাক করে রেখেছে। যার কারণে গত শনিবার ২২/৭/২৩ ইং জোরপূর্বক ক্ষমতার দাপটে, পুলিশ পাহাড়া সহ স্থানীয় গুন্ডা মাস্তান ভাড়া করে, ওই প্রতিষ্ঠানের ৪টি পদের নিয়োগ সম্পূর্ন করেন।

এ বিষয়ে  ভুক্তভোগী  মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের চাকরির জন্য আবেদন করেন এরপর  ওই প্রতিষ্ঠানের তাকে ডেকে নিয়ে মোটা অংকের অর্থ দাবি করার কারণে,  তিনি ওই অর্থ দিতে না পারায় আদালতের শরনাপন্ন হয়ে মামলা দায়ের করেন। যার মামলা  নং ১০৫/২০২৩ এবং কারণ দর্শানোর জন্য,  আদালতের জারি কারক নিয়োগের দিন সকাল ৯ টার সময় উপস্থিত হন এবং ওই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি এবং প্রধান শিক্ষককে আদালতের কাগজ রিসিভ করে তাকে ছেড়ে দিতে বলেন, সেই সময় তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি আদালতের জারি কারকের কথায় কর্ণপাত না করে নিয়োগের জন্য প্রক্রিয়া শুরু করেন। এরপর বেলা এগারোটার দিকে স্থানীয় জনগণের তোপের মুখে আদালতের কাগজ রিসিভ করতে স্কুল কর্তৃপক্ষ বাধ্য হন।

মান্দা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ আলম শেখ  ও ডিজি প্রতিনিধি মোঃ আব্দুল আজিজ এর  মাধ্যমে নিয়োগ সম্পন্ন করে তারা চলে যান। এ বিষয়ে সভাপতি গোলাম আজমের সাথে মোবাইলে কথা হলে,সব কিছু অস্বীকার করে তিনি বলেন, ডিজির প্রতিনিধি এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসার থাকা অবস্থায় সচ্ছতার নিয়োগ সম্পূর্ণ করা হয়েছে। তবে তিনি ও প্রধান শিক্ষক, আদালতের কারণ দশানোর নোটিশ পেয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন