বরিশালে মৎস্য কর্মকর্তার অনিয়ম দুর্নীতির কবলে শত শত কৃষক


স্টাফ রিপোর্টারঃ

বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ ও সিনিয়র সহকারী পরিচালক সমীর কুমার বসাক এবং বাকেরগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামে অনিয়ম ও দুর্নীতির কবলে বাকেরগঞ্জ থানাধীন ১৩ নং পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের শত শত কৃষক। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, রঘুনাথপুর গরুর হাট সংলগ্ন সরকারি খালের সুঁইচ গেট, যেটি স্থানীয় কৃষকদের ফসল ফলানোর সময় খুলে দেওয়া হয়, যা কৃষকের চাহিদা মত পানি ব্যবহারের পরে  সুঁইচ গেটটি আবার বন্ধ করে দেওয়া হয়। উক্ত খালের পানি দ্বারা পুরো ইউনিয়নের কৃষকরা ধান চাষ করে থাকে। বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তাদের যোগসাজশে মোহাম্মদ নজরুল গাজী ওরফে লিখন গাজী ও জাকির কাজী ফ্যাসিস্ট  সরকারের আমলে প্রভাব খাটিয়ে নৌযান ও পানি চলাচলের এই খালটিতে  ১০/১২ টি বাঁধ নির্মাণ করে মাছ চাষ করার কারণে বিপাকে পরছেন এলাকার শত শত কৃষক ও সাধারণ মানুষ। 

 লক্ষ্য করা যায় এই বাঁধ দেওয়ার ফলে ০৯ নং ওয়ার্ড সহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়,

অন্য দিকে জোয়ার ভাটার পানি বন্ধ থাকায় বৃষ্টির পানি জমে থাকে, এতে করে পানিতে জন্ম নেয়া লতাপাতা পঁচে দুর্গন্ধসহ পানি বাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্তসহ  এই নোংরা পানিতে জন্ম নেয়া মাশার কারণে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে অসংখ্য স্থানীয় মানুষ। 

স্থানীয়রা আরো জানান, গত ০৫ ই আগস্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালিয়ে গেলেও ১৩ নং পাদ্রি শিবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দোসররা দাপটের সাথেই রয়েছে।

এদের অত্যাচারে এলাকার নিরীহ কৃষকরা জিম্মি হয়ে পরেছে। সূত্র মতে যানাজায় ফ্যাসিস্ট হাসিনার সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময় সংখ্যালঘুদের শত  ভাগ সুবিধা দিয়ে আসছিলো তারা।

তারই ধারাবাহিকতায় বরিশাল মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ ও সমীর কুমার বসাক অনিয়মকে নিয়মের আওতায় এনে শত শত নিরীহ ও অসহায় কৃষকের দুর্ভোগ সৃষ্টি করছে তারা, যার কারণে কৃষকরা ধান চাষসহ যে কোনো প্রকার চাষাবাদে হিমশিম খাচ্ছে। 

একপর্যায়ে খালের বাঁধ খুলে দেওয়ার দাবিতে স্থানীয় কৃষকরাসহ এলাকার সাধারণ মানুষ মানববন্ধন করতে বাধ্য হন। এছাড়াও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বাকেরগঞ্জের কার্যালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। 

যার ফলাফল এখনো পর্যন্ত পাননি তারা,বর্তমানে হতাশার মধ্য দিয়ে দিন কাটছে ঐসকল অসহায় কৃষক ও স্থানীয়দের।

এবিষয়ে বরিশাল জেলা মৎস্য অফিসের সিনিয়র সহকারী পরিচালক সমীর কুমার বাসকের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান আমি বাকেরগঞ্জে কখনো যাইনি এবং উক্ত বিষয়টির ব্যাপারে আমার জানা নাই, তবে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ভালো বলতে পারবেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন