বুড়িচংয়ে গোমতির প্রতিরক্ষা বাঁধের নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে চলছে

 


সৌরভ মাহমুদ হারুন:

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বুড়বুড়িয়া এলাকায়  গোমতির প্রতিরক্ষা বাঁধের  নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে  এগিয়েে চললে ও বানভাসিরা আরও  দ্রুত কাজ সম্পন্নের তাগিদ  দিচ্ছেন। গোমতির বাঁধ ভাঙ্গার পূর্বে এবং পরবর্তী সময়ে স্বেচ্ছায়  মানুষকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করার কাজে যিনি ব্যাপক ভূমিকা রেখে আসছেন মোঃ জামাল উদ্দিন জানান -গোমতির  প্রতিরক্ষা বাঁধের নির্মাণের কাজ এগিয়ে চললেও তা আরো দীর্ঘস্থায়ী ও টেকসই  করার লক্ষ্যে ব্লক সিস্টেমে কাজকে সম্পন্ন করলে আরো মজবুত হতো। না হয় যে কোন দুর্যোগে পানি বৃদ্ধি পেলে আবারো বাঁধ্ ভেঙ্গে বুড়িচং ব্রাহ্মনপাড়ার ১৭ টি ইউনিয়নের জনগনের জান মালের ব্যাপক ক্ষতির   সম্ভাবনা রয়েছে। ভবিষ্যতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান। এদিকে, অত্যন্ত জন গুরুত্বপূর্ণ স্থানটি দিয়ে বেড়িবাঁধ ভাঙ্গার ফলে বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার  ষোলনল ও  পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের হাজার হাজার জনগণ এখনও  অত্যন্ত কষ্টে বেরিবাঁধ এলাকা দিয়ে  যাতায়াত  করতে হচ্ছে। বিশেষ করে বুড়িচং উপজেলার শ্রীপুর, কিংবাজেহুরা, গোবিন্দপুর,  নানুয়ার বাজার, কদমতলী, বেড়াজাল, পূর্বহড়া, মিথিলাপুর, ভরাসার কোশাইয়াম, ভান্তি, বালিখাড়া,  খাড়াতাইয়া,  শিকারপুর, বুড়িচং সদর  সহ গোমতি  পাড়ের হাজার হাজার মানুষ। গতকাল ৩০ অক্টোবর সরেজমিনে গিয়ে বেড়িবাধঁ নির্মাণ কাজের বিভিন্ন দিক পরিদর্শন করা হয়।পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়োজিত বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গরা উক্ত বেড়িবাধঁ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে দিন-রাত কাজ  চালিয়ে  যাচ্ছে। তারা বলছেন উক্ত কাজ  সমাপ্ত হতে আরো ১  মাস সময় লাগবে।  এছাড়া, গত ২৩  সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পানি সম্পদ  উপদেষ্টা সৈয়দা রেজওয়ানা ইয়াছমিন উক্ত বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। এ সময় বুড়িচং  উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাহিদা আক্তার, উপজেলা প্রকৌশলী আলিফ আহমদ অক্ষর,  উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা  মোস্তফা মাইদুল ইসলাম মুরাদ সহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের  বিভিন্ন কর্মকর্তাগণ  উপস্থিত ছিলেন।  এলাকাবাসীর একান্ত চাওয়া পরবর্তী কোনো দুর্ঘটনা ঠেকাতে  যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গোমতি নদীর বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা জরুরী। 
  উল্লেখ্য,  গত ২২ আগস্ট রাত সাড়ে ১১ টা গোমতী নদীর বুড়বুড়িয়া ও বেড়াজালের মধ্যবর্তী স্থান দিয়ে বাঁধভাঙ্গায় স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় জনগণকে। বাঁধ ভাঙ্গার ফলে হু হু করে পানি লোকালয়ে  প্রবেশ করে  বুড়িচং ব্রাহ্মণপাড়া  উপজেলার ১৭ টি ইউনিয়নে  স্মরণ কালের ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয় । আজ  ১৮ নভেম্বর   ভয়াবহ সেই বন্যার  ২ মাস ২৯  দিন পূর্ণ হল।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন