শেখ মোঃ আরিফুল ইসলাম, মৌলভীবাজার:
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার সাতগাঁও ইউনিয়নের সাতগাঁও চা বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বন বিভাগের অনুমতি ছাড়াই শতাধিক গাছ কাঁটার অভিযোগ।
বিগত মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে এসব গাছ কেটে ফেলা হলেও বন বিভাগ জানিয়েছে, এ বিষয়ে তারা কিছুই জানেনা। আর বাগান কর্তৃপক্ষ বলেছে, গাছ কাঁটার অনুমতি না নিলেও গাছগুলো স’ মিলে চিরাই করার জন্য যথাযথ প্রক্রিয়ায় বন বিভাগে আবেদন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক ইফতেখার আলম জানান, শ্রমিক কলোনির ঘর নির্মাণ ও রিপিয়ারিং কাজের জন্য এসব গাছ কাটা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন সময় ঝড়ে এসব গাছ পড়ে গিয়েছিল। মৃত গাছে উলু পোকা আক্রমন করে থাকে। চা গাছের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দেখা দিতে পারে-এমন আশংকা থেকে এসব গাছ কাটা হয়েছে। তবে গাছ কাটতে বন বিভাগের কোন অনুমতি নেয়া হয়নি স্বীকার করে ইফতেখার আলম বলেন, গাছ কাটার জন্য বন বিভাগের অনুমতি না থাকলেও স’ মিলে গাছ চিরাই করার জন্য অনুমতি চেয়ে বন বিভাগে আবেদন করা হয়েছে।
সাতগাঁও চা বাগানের ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করলে বলেন, বাগানের বিভিন্ন স্থানে ঝড়ের কবলে প্রায় ৭০টি গাছ পড়ে যায় আর তাই এগুলো কাঁটা হয়েছে । পরে আরো কিছু প্রশ্ন করলে উনি উনার অফিসে চা দাওয়াত দিয়ে চা পানের পাশাপাশি চায়ের টেবিলে কথা বলবেন বলে রেখে দেন।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে বন বিভাগের এসিএফ আবু বক্কর বলেন, সাতগাঁও চা বাগান কর্তৃক গাছ কাঁটার বিষয়টি তিনি জানেন না। তিনি বলেন, চা বাগানের গাছ কাটতে বন বিভাগ ছাড়াও চা বোর্ড, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে লিখিত অবহিত করার নিয়ম রয়েছে। সংশ্লিষ্টদের নিয়ে গঠিত কমিটি এবিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন বলেও তিনি জানান।
উপজেলার সাতগাঁও চা বাগানে সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, চা বাগানের বিভিন্ন সেড ট্রি কেটে ম্যানেজার বাংলোর আশেপাশে স্তুপাকার করে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে অর্জুন,আদুরী, বেনজিয়াম, শীল কড়ইসহ বিভিন্ন প্রজাতির ও ঔষধি গাছ রয়েছে। ছোট বড় নানাবিধ বয়সের গাছ রয়েছে।
অথচ গতকদিনের অনুসন্ধানে জানা যায় দীর্ঘ দিন থেকে গাছ কেটে অবৈধ ভাবে ব্যবসা চালিয়ে আসছে একটি চক্র। তার পরও সবকিছু জেনে বুঝেও সংশ্লিষ্ট মহল কোন এক অদৃশ্য শক্তির কারণে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে নানাবিধ অক্ষমতা দেখা দিয়েছে।
Tags
শ্রীমঙ্গল