বিশেষ প্রতিনিধি, গাজীপুর :
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয় আওয়ামী যুবলীগ নেতা নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ছাত্র হত্যা মামলাসহ একাধিক অপরাধের অভিযোগে ফুঁসে উঠেছে জনতা। এলাকাবাসী সরাসরি তার সর্বোচ্চ শাস্তি—ফাঁসির দাবি জানিয়েছে।
বিক্ষুব্ধ জনতার বক্তব্য, “এই অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি না হলে, রাজপথে নেমে আন্দোলনে যেতে আমরা বাধ্য হবো।”
অভিযোগ উঠেছে, দীর্ঘদিন ধরেই নজরুল ইসলাম রাজনৈতিক পরিচয়ের আড়ালে চালিয়ে যাচ্ছেন সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, জমি দখল, মাদক ব্যবসা ও টেন্ডার বাণিজ্য। স্থানীয়দের দাবি, তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকলেও, প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় প্রতিবারই আইনের হাত থেকে পার পেয়ে যান তিনি।
একজন ভুক্তভোগী বলেন, “আমার ভাইকে প্রকাশ্যে মারধর করেছে, মামলা করতে গেলে থানা নেয়নি। সবাই ভয় পায়, মুখ খুললেই হুমকি আসে।”
সর্বশেষ এক ছাত্র হত্যাকাণ্ডে নজরুল ইসলামের নাম জড়ানোয় জনমনে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। এলাকাজুড়ে চাপা ক্ষোভ ও উদ্বেগ বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “তার বিরুদ্ধে ছাত্র হত্যা মামলাসহ একাধিক অভিযোগ তদন্তাধীন। প্রমাণ মিললে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয় মানবাধিকার কর্মীদের মতে, নজরুল ইসলামের মতো অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে, এমন ঘটনা বারবার ঘটতে থাকবে। তাদের কণ্ঠেও একটাই সুর—“এই অপরাধীর ফাঁসি না হলে, এলাকায় কখনোই শান্তি ফিরবে না।”
গাজীপুরের ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড এখন নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে তদন্তের ফলাফলের অপেক্ষায়। জনতার চোখ আজ প্রশাসনের দিকে।