কুষ্টিয়ায় কলার সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে মাদরাসা শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ, কারাগারে পল্লী চিকিৎসক

 


কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে কাজের কথা বলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে কলার সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে মাদরাসা শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে পল্লী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হলে পুলিশ অভিযুক্ত ওই পল্লী চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার (১৬ মে) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে জগন্নাথপুর ইউনিয়নের দয়ারামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন কুমারখালী থানায়।

অভিযুক্ত পল্লী চিকিৎসক জগন্নাথপুর ইউনিয়নের দয়রামপুর গ্রামের মৃত বাদশা শাহের ছেলে বারিক শাহ (৫৫)।

জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে পল্লী চিকিৎসক বারিক শাহ তার স্ত্রীর অসুস্থতার বাহানায় প্রতিবেশীর ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে কাজের কথা বলে ডেকে নিয়ে কলার সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে ধর্ষণ করেন। মেয়েটির জ্ঞান ফেরার পর বাড়িতে পৌঁছে পুনরায় অজ্ঞান হয়ে গেলে বাড়ির লোকজন তাকে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। পরবর্তীতে ওই শিক্ষার্থী তার অভিভাবকদের বিষয়টি জানালে তারা কুমারখালী থানায় জানান এবং থানা পুলিশ নমুনা সংগ্রহের জন্য ওই শিক্ষার্থীকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। ঘটনার সত্যতা মিললে রাতেই পল্লী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা হয়।

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলায়মান শেখ জানান, মাদরাসা শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে পল্লী চিকিৎসককে বৃহস্পতিবার রাতে আটক করে শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন