মুন্সীগঞ্জে দ্বিতীয় বিয়ের ৯ মাসের মাথায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা


মুন্সীগঞ্জে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করছে স্বামী। শুক্রবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে মুন্সীগঞ্জের আধারা ইউনিয়নের দেওয়ানকান্দি এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ঘাতক স্বামী সুজন মোল্লাকে রাতেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়,শুক্রবার দিবাগত রাত ১০ টার দিকে স্বামী সুজন মোল্লা ও স্ত্রী সেলিনা বেগমের মধ্যে পারিবারিক কলহের জেরে ঝগড়াঝাটি বাঁধে। ঝগড়াঝাটির এক পর্যায়ে স্বামী সুজন মোল্লা তার স্ত্রী সেলিনা বেগমকে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে ফেলে রেখে চলে যায়।

পরে স্থানীয়রা বিষয়টি মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় অবগত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সেখানে সেলিনা বেগমের রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

এদিকে রাতেই অভিযান চালিয়ে জেলার টঙ্গীবাড়ি উপজেলার দিঘীরপাড় এলাকায় থেকে রাত দেড়টার দিকে ঘাতক স্বামী সুজন মোল্লাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে সুজন স্বিকার করে স্ত্রীর পরকিয়ার কারণে নিজে কীটনাশক পান করে স্ত্রীকে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় সে।

আটক স্বামী সুজন জানান,আমাদের বিয়ে হযেছে ৯ মাস আগে এটি আমার দ্বিতীয় বিয়ে। বিযের ৬ মাস আমাদের সংসার ভালোই চলছিল ৩ মাস ধরে আমার স্ত্রীর আমার দুর সম্পর্কের মামা জসিমের সঙ্গে পরকিয়া সম্পর্কে জড়ান। তিনি বিভিন্ন সময় নানা অজুহাতে চৈতারচর গ্রামে মুন্নার বাড়িতে গিয়ে তার সঙ্গে সময় কাটাতেন। আমি বিষয়টি জেনে তাকে বলি আমরা মুন্সীগঞ্জ ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে যাব। তারপরও সে আমার কথা শুনে না, খারাপ আচরণ করে। বাধ্য হয়ে আমি প্রথমে বিষ খেয়ে তাকে ঘরে থাকা বটি দিকে কুপিয়ে হত্যা করি। আমার আর কিছুই রইলনা।

এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম জানান, ওই রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে হত্যাকারী স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে। নিহতের মরদেহ মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে আসামি সুজন মোল্লা মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পুলিশ প্রহরায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন