মোঃ মাইনুল সিকদার, কালিয়াকৈর (গাজীপুর) :
গাজীপুরের কালিয়াকৈরের অলিয়ারচালা এলাকায় 'সিয়াম ফিসারিজ' নামে একটি মৎস্য খামারে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে ২০ লাখ টাকা লুট করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১৪ মে ) সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন ওই মৎস্য খামারে ব্যবস্থাপক বাহারুল ইসলাম।
ব্যবস্থাপক বাহারুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলন করে আরো বলেন, জাকির হোসেন,আঃ মান্নান, মোজাম্মেল হোসেন, নাজমুল,মোঃ সবুজ মিয়া, শরিফুল ইসলাম দুলী, রফিকুল ইসলাম,আঃ মালেক, হুমায়ূন কবীর,আশরাফুল আলম সহ আরও বেশ কয়েকজন সিয়াম ফিসারিজ মৎস্য খামারের মালিকের নিকট সম্প্রতি ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
তাদের দাবি কৃত ৫০লাখ টাকা চাঁদা না দেয়ায় গত ২৩ মে মঙ্গলবার দুপুরে উল্লেখিত ব্যক্তি গন সহ আরো বেশ কয়েকজন মৎস্য খামারে গিয়ে পাহারাদারদের তিনটি ঘর ভাঙচুর করে অগ্নি সংযোগ করে এবং খামারের অফিস কক্ষে ঢুকে অফিসের স্টাফ ইব্রাহিমকে জোর করে বের করে দিয়ে অফিস কক্ষ থেকে ২০ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। তিনি আরো বলেন অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জাকির হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সিয়াম ফিসারিজ নামে মৎস্য খামারটি প্রায় ১৮০ জনের জমির উপরে প্রতিষ্ঠিত।কামাল উদ্দিন সিকদার এ মাছের খামারটি ১৮০ জন জমির মালিকের কাছ থেকে চুক্তি করে নিয়ে চালিয়েছেন। গত ৫ ই আগস্টের পর কামাল উদ্দিন সিকদার পলাতক থাকায় তিনি চুক্তি মত ঐ সকল জমির মালিকদের টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় এবং বারবার ওই খামারের মালিক কে তাগাদা এবং নোটিশ করার পরও কোন কর্ণপাত না করায়, স্থানীয় জমির মালিকগণ কামাল উদ্দিন সিকদার কে জমি আর ভাড়া দিবেন না মর্মে ওই খামারের ব্যবস্থাপক কে জানিয়ে দিয়েছেন। সেখানে কোন টাকা পয়সা লুটের ঘটনা ঘটেনি বরং অভিযোগকারী বাহারুল ইসলাম নিজেই ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করে আমাদের উপর দায় চাপানোর অপচেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)রিয়াদ মাহমুদ বলেন, ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে।ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।