আখাউড়া স্থলবন্দরে ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্য, ব্যবসায়ী মহলে স্বস্তি


এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া :

আখাউড়া স্থলবন্দরে ফের কর্মচাঞ্চল্য ফিরতে শুরু করেছে। সম্প্রতি এমবিআর (MBR) কর্তৃক দেওয়া কমপ্লিট শাটডাউনের কারণে প্রায় শতভাগ রপ্তানীনির্ভর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। তবে সোমবার (৩০ জুন) সকাল থেকে শাটডাউন প্রত্যাহার করায় স্থলবন্দর দিয়ে পুনরায় বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হওয়ায় ব্যববসায়ী মহলেও ফিরেছে স্বস্তি।

ব্যবসায়ীরা জানান, শাটডাউনের কারণে রোববার কোনো পণ্য ভারতে রপ্তানি করা হয়নি। এতে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। সেইসাথে সরকারও রাজস্ব বঞ্চিত হন। তবে শাটডাউন প্রত্যাহারের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে বন্দরগুলোকে আন্দোলনের আওতামুক্ত রাখার দাবি জানান ব্যবসায়ীরা। সোমবার সকাল থেকে ভারতে রপ্তানির জন্য বিভিন্ন পণ্য স্থলবন্দরের ট্রাক ইয়ার্ডে আনা হয়। বন্দরে কর্মচাঞ্চল্যতা ফিরে আসায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যেও স্বস্তি ফিরে এসেছে। 

সকালে তিনটি ট্রাকে করে ৬৬ মেট্রিকটন আটা এবং দু'টি পিকআপে করে হিমায়িত মাছ ভারতে রপ্তানির জন্য স্থলবন্দরে আনা হয়। রপ্তানী সংক্রান্ত বিভিন্ন কাগজপত্র স্বাক্ষরসহ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করে এসব পণ্যের রপ্তানি কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।

আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক ব্যবসায়ী ফারুক মিয়া জানান, 'সকালে মাছ রপ্তানির মধ্য দিয়ে বন্দরে পুনরায় বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর ধাপে ধাপে সিমেন্টসহ অন্যান্য পণ্যও রপ্তানি করা হয়েছে। বর্তমানে আরও কয়েকটি পণ্যবাহী ট্রাক রপ্তানির অপেক্ষায় বন্দরে দাঁড়িয়ে রয়েছে।'



আখাউড়া স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, 'সোমবার সকাল থেকে তিনটি ট্রাকে করে ৬৬ মেট্রিকটন আটা এবং দু'টি পিকআপে করে হিমায়িত মাছ রপ্তানির জন্য আনা হয়। রপ্তানির বিভিন্ন কাগজপত্র স্বাক্ষরসহ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করে রপ্তানি কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়।' তবে শাটডাউনে দু'দেশের যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক ছিলো বলে তিনি নিশ্চিত করেন।

উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম রপ্তানীমুখী আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরাসহ সাতটি পাহাড়ি রাজ্যে প্রায় ৫০টিরও বেশি পণ্য রপ্তানি হয়ে থাকে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ কয়েকটি পণ্যের উপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় রপ্তানি আয় প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।আশা করা হচ্ছে, কার্যক্রম পুনরায় সচল হওয়ায় ব্যবসায়িক গতি ফিরে আসবে এবং স্থানীয় অর্থনীতিতে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন