ধারের ২০০ টাকা ফেরত না দেওয়ায় বন্ধুকে খুন

ছবি : সংগৃহীত

শরীয়তপুর প্রতিনিধি :  ধারের ২০০ টাকা ফেরত না দেওয়ায় ছুরিকাঘাতে মারুফ সরদার (১৯) নামে এক তরুণকে হত্যা করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে তারই বন্ধু রিফাত এ হত্যাকাণ্ড ঘটান।

বুধবার (১১ জুন) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থার মৃত্যু হয় তার। এর আগে রোববার বিকেলে শরীয়তপুরের গোসাইরহাটের চরধীপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মারুফ সরদার চরধীপুর এলাকার শহিদুল সরদারের ছেলে। সে ঢাকার মধ্যবাড্ডায় এলাকায় ফলের ব্যবসা করতেন। ঘটনার দিনই মারুফের বড় বোন পাপিয়া গোসাইরহাট থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চরধীপুর এলাকার মারুফ সরদারের সঙ্গে একই এলাকার রিফাতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। বেশ কিছুদিন আগে রিফাতের থেকে দুইশো টাকা ধার নিয়েছিল মারুফ। তবে সেটি সে এখনো ফেরত দেয়নি। এদিকে ঈদ উপলক্ষে মারুফ বাসায় ফিরলে গত রোববার তার কাছ থেকে ধারের টাকা ফেরত চায় রিফাত। তবে মারুফ তার কাছে টাকা নেই এবং পরবর্তীতে দেওয়ার কথা জানায়। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডার হলে মারুফ বাসায় চলে যায়। এরপর রিফাত মারুফের বাসায় ঢুকে তাকে ছুরিকাঘাত করলে গুরুতর আহত হয় সে। এদিকে মারুফের ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে পালিয়ে যায় রিফাত। পরে মারুফকে গুরুতর জখম অবস্থায় প্রথমে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে অবস্থার অবনতি ঘটলে

উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। পরে তাকে সেখানে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসা করানোর পর বুধবার সকালে তাকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এদিকে মারুফের মৃত্যুর খবর পৌঁছালে এলাকাজুড়ে বয়ে যায় শোকের মাতম। এ ঘটনায় দোষীর বিচারের দাবী জানিয়েছেন নিহতের পরিবার।

ছবি : সংগৃহীত

নিহত মারুফের বড় বোন পাপিয়া আক্তার অভিযোগ করে বলেন, আমার ভাই ধারের টাকা ফেরত দিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিলো। কিন্তু তার বন্ধু রিফাত তখনিই টাকা চায়। পরে সে আমার ভাইকে মারধর করে। আমার ভাই তাদের হাত থেকে বাঁচতে বাড়িতে চলে আসলে ঘরে ঢুকেই তার পেটে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় রিফাত। সামান্য দুইশো টাকার জন্য আমার ভাইকে মেরে ফেলা হলো। আমি দোষীদের ফাঁসি চাই।

এ ব্যাপারে গোসাইরহাট থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মফিজ বলেন, ধারের টাকা ফেরত না দেয়ায় এক যুবককে ছুরিকাঘাত করেছিলো তার বন্ধু। তিন দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। নিহত মারুফের লাশ ঢাকার শাহাবাগ থানা পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন