শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে সদর বাজারের সরকারি শেডগুলো ব্যক্তি মালিকানায়


শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলা সদর বাজারের সরকারি শেডগুলো ব্যক্তি মালিকানায় নিয়ে দখল বাণিজ্য করে আসছে দীর্ঘ ২৫/৩০ বছর যাবত দখলকারীরা । বাজারে ৫শতাধিক সরকারি চালা শেড করে দেয়া হলেও তা বেদখল হয়ে গেছে । এই ঘরগুলোতে প্রথমে দোকানের নাম করে পুরাতন টিন দিয়ে চারদিকে ঘিরে ফেলে দখলকারীরা । কিছুদিন পর ওই ঘরগুলো তৎকালীন ভূমি অফিসের অসাধু কর্মকর্তা, বাজারের ইজারাদার, আওয়ামী পন্থি সাংবাদিক ও কিছু চুনোপুঁটি মাতাব্বর অর্থের লেনদেনের মাধ্যমে দখলদারিত্ব পাকা করতে সরকারি শেড ভেঙে রাতারাতি ঘর তুলে চৌচালা. হাফ বিল্ডিং সহ ফাউন্ডেশনের অট্রেলিকা তৈরি করা হয় । এই সুবাদে সরকারি জায়গা ক্রয় বিক্রয় ও দোকানের জামানত লাফালাফি করে বেড়ে যায় । বর্তমান এই সরকারি জায়গা বিক্রি হচ্ছে ৫হাত জায়গা ৮ থেকে ১০লাখ টাকা পর্যন্ত বাজারের স্থান মোতাবেক । ঝিনাইগাতী সদর বাজারের পানহাটি,কাপড়পট্্ির,মুরগী হাটি,মাছবাজার,সাবেক চাল বাজার, চাপড়া পট্রি সহ সকল পণ্যের বাজার কাগজে কলমে সরকারের থাকলেও ব্যক্তি মালিকানায় চলে যাওয়ার ফলে জনসাধারণের চলাফেরার ব্যাপক দূর্ভোগ পোহাচ্ছে । বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল আলম রাসেল বাজারের সরকারি শেড ঘর নির্মানের কোন অনুমতি না দিলেও অদৃশ্য শক্তির ঈশারায় ঘর উত্তোলনের কাজ অর্থের বিনিময়ে চলতেই থাকে । গতকাল রোববার সরকারি শেড ভেঙ্গে ঘর উত্তোলনের কাজ করার কারণে ইউএনওর নির্দেশে তা আংশিক ভেঙে দেয় ভূমি অফিসের লোকজন । বাজারের আশপাশের বসতবাড়ি ৮০/৯০ বছর থেকে বসবাস করে আসছে অনেক পরিবার কাগজের জটিলতা থাকতে পারে সে গুলোকে একটি প্রক্রিয়ায় অনার জন্যে প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেন এলাকাবাসী । কিন্তু বাজারের চিত্র ভিন্ন কিভাবে সরকারি শেড দখল হয়ে যাচ্ছে তা কোঠর হস্তে দমন করে আইনের মধ্যে থেকে একটা বিহীত করার আহব্বান রাখেন সাধারণ মানুষ । এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল আলম রাসেল বলেন বাজারের সরকারি শেড দখলের পায়তারা দীর্ঘদিন থেকে চলে আসছে । খবর পেয়ে কাজ বন্ধ ও নতুন ঘরে তালা লাগানো সহ তা ভেঙে দেয়া হয়েছে। সরকারী শেডগুলো দখল থেকে উদ্বার করে জনস্বার্থে ও বাজারের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে রাস্তা, গলি ও বড় করে শেড নির্মাণ করার কাজ হাতে নেয়া হবে বলে জানান ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন