ঘটনা সত্য, স্বাক্ষী দূর্বল অতএব মামলা খালাস!

 


একরামুল হক চঞ্চল, দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে দূর্বল স্বাক্ষী ও স্বাক্ষীর অভাবে দিবালোকের মতো সত্য ঘটনা থেকে অতি সহজে খালাস পেয়ে গেলো ২টি মামলা হতে লগেন কিস্কু গংরা। 
জেলা দিনাজপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল আমলী আদালত (১) সদরে গত ১৭/০৪/২০১৯ তারিখ বাংলাদেশ নর্দান ইভান জেলি ক্যাল লুথারেন চার্চ (বিএনইএলসি) আউলিয়া পুর মিশন, পুলহাট সদর দিনাজপুরে উক্ত চার্চের ট্রেজার বর্তমানে দায়িত্ব প্রাপ্ত রবীন সরেনবাদী হয়ে লগেন কিস্কুকে প্রধান আসামি করে ১১জনের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে অত্র চার্চে এডমিনিস্ট্রেটর হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় চার্চের সম্পদ,অর্থ ও নারী কেলেংকারী, চার্চের প্রধান কে মারপিটের অভিযোগে মামলা আনয়ন করেন। (মামলা নং-সিআর-২৯৩/১৯ কোতোয়ালি ও  সিআর - ১৫২/১৯ কোতোয়ালি)। 
মামলার আর্জিতে উল্লেখ করা হয় ১নং আসামি লগেন কিস্কু ইতিপূর্বে অত্র চার্চে এ্যাডমিনিষ্টেটর হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় চার্চের সম্পদ, অর্থ ও নারী কেলেংকারী ও অসদাচরণের অভিযোগ উঠলে গত ১২/১২/২০১৮ ইং- তারিখে চার্চের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় সিনোড সভা সাঁওতাল এ্যাডুকেশন সেন্টার পশ্চিম শিবরাম পুরে অনুষ্ঠিত হয়। চার্চ কতৃপক্ষ আসামি লগেন কিস্কুর নিকট সম্পূর্ণ হিসাব নিকাশ বুঝে দেয়ার জন্য অনুরোধ করলে আসামীদ্বয় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আসামি লগেন কিস্কু, শুভ্র টুডু,জন মূর্মূ,অমল মার্ডী, নিমাই দাস, নরেন বাস্কে, হুপনু মূর্মূ,শিমন হাসদা, লেবীও হাসদা, নির্মল মার্ডী ও মিথুয়েল মূর্মূ গংরা পরষ্পর যোগসাজশ করে অত্র চার্চের একাউন্ট হতে দুই কিস্তিতে ২১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা লাগেন কিস্কু অত্যন্ত সুকৌশলে তার ব্যক্তিগত একাউন্টে নিয়ে আত্মসাৎ করে। ফলে বাংলাদেশ নর্দার্ন ইভানজেলিক্যাল লুথারেন চার্চ প্রতিষ্ঠান টি মারাত্মক অর্থনৈতিক হুমকির মধ্যে পড়ে। অর্থ লোপাট, চার্চের ভিতর বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ ঘটায়ে ধর্মীয় নেতা রেভারেন্ড আমিন হেমরম কে গলা চেপে ধরে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ সহ মহিলাদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও দূর্বল স্বাক্ষীর কারনে আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে দিবালোকের মতো সত্য ঘটনায় ও অন্যায় জিতে যাওয়ায় সবাই হতভম্ব। 
বাদী রবীন সরেন আক্ষেপ করে বলেন, গত ১৬/১২/২০১৮ ইং- তারিখে কোতোয়ালি থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলে অফিস ইন চার্জ মামলাটি রেকর্ড করতে টালবাহানা করে সময় ক্ষেপণ করতে থাকে। ফলে আদালতে মামলা করতে বাধ্য হই। শুধু তাই নয়, আদালত হতে তদন্ত রিপোর্টের জন্য নির্দেশ গেলেও কোতোয়ালি থানা ২৩ কার্য দিবসেও যথা সময়ে আদালত পুলিশি তদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়ায় মামলা ও প্রতিষ্ঠানের অপূরনীয় ক্ষতি হয়ে গেলো। অথচ ১ হতে ১১ নং আসামি গন যোগসাজশ করে জয়েন্ট ষ্টক কোম্পানি এন্ড ফার্মস রাজশাহীর ভূয়া সহি স্বাক্ষর, শীল ব্যবহার করে ভূয়া কপি তৈরি করে নিশ্চিন্তে অপরাধের হাত হতে রেহাই পেয়ে যায়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন