সোনারগাঁয়ে প্রশাসনের নাম বিক্রি করে মাদক ব্যবসায়ী বাবু বেপরোয়া



সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁয়ের জামপুর ইউনিয়নে পুলিশের নাকের ডগায়ই মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে মাদক সম্রাট বাবু ওরপে বরকি বাবু। 

এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, তালতলা পুলিশকে ম্যানেজ করেই জামপুর,ও সাদীপুর ইউনিয়নের কয়েকটি স্পটে প্রকাশ্যে মাদকদ্রব্য সাপ্লাই দিয়ে আসছে বাবু। সাথে চালিয়ে যাচ্ছে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই। 

বাবু উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের পেচাঈন এলাকার মোঃ বাচ্চু মিয়ার ছেলে। তার সহযোগীদের মধ্যে রয়েছে তাজু,শাহরিয়ারসহ অনেকে।  মাদক সম্রাট বাবুর জমজমাট মাদক ব্যবসার কারণে জামপুর,সাদীপুরে হাত বাড়ালেই মিলছে মদ, গাঁজা, ফেনসিডিল ও ইয়াবা।

এলাকাবাসী জানান, মাদক বিক্রি হওয়াটা এখন স্বাভাবিক বলে মনে করে অনেকেই। এ ব্যাপারে কোনো রাখঢাকও নেই। সন্ধ্যার পর থেকে রাস্তাঘাটে পাড়া মহল্লায় মাদক ঘুরে ঘুরে ফেরি করে বিক্রি করছে এমন অভিযোগ করেন অনেকে।

এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানান,পুলিশের সাথে নাকি মাসিক চুক্তি করে বরকি বাবু মাদক ব্যবসা চালাচ্ছে। এই চক্রের মাদক ব্যবসার শেল্টারদাতা নাকি অনেক প্রভাবশালী নেতারা। এদের মধ্যে প্রভাবশালী নেতাদের নামও বলছেন অনেকে।

এ সকল প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় চক্রটি নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে মাদক বিক্রি করে থাকেন। মাদক সহজলভ্য হওয়ায় এলাকার উঠতি বয়সি তরুণরা নেশার দিকে ঝুঁকে পড়েছে। ইদানিং মাদকাসক্ত পরিস্থিতিটা জামপুরে ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন মরণনেশা মাদকে দিন দিন এলাকার তরুণরা আসক্ত হচ্ছে। বাড়ছে মাদক সেবনকারীদের উৎপাত। বাবু ও তার সহযোগীরা এলাকায় প্রতিনিয়ত করছে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, মারামারিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। পুলিশ ও র‌্যাব অভিযান চালিয়ে ইদানিং কয়েকজন মাদক বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করলেও বন্ধ হয়নি মাদক ব্যবসা। বরং দিন দিন এলাকায় মাদক ব্যবসা ও মাদক সেবনকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

এ ব্যাপারে তালতলা পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ জানান, পুলিশের সাথে সক্ষতার কোন প্রশ্নই উঠে না, পুলিশের নাম বিক্রি করে কেহ যদি কোন অপকর্ম করে থাকে তাহলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন