এ.বি.এম.হাবিব (নওগাঁ) :
নওগাঁ সদর রজাকপুরের আবু সাঈদ পাওনা টাকা দেওয়ার কথা বলে, ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে টাকা না দিয়ে, উকিল নোটিশের কথা শুনেই, পাওনাদারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মারামারির কাহিনী সাজিয়ে কোর্টে মামলা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পাওনাদার নিরবের বাবা খলিলুর রহমান।
সরেজমিনে জানা যায়, চলতি বছরে গত মার্চ মাসে আবু সাঈদ ও খলিলুরের মধ্যে ভালো সুসম্পর্ক থাকায় আবু সাঈদের টাকার প্রয়োজন হওয়ায়, খলিলুরের কাছ থেকে ৪ লক্ষ ৬২ হাজার টাকা কয়েকদিনের মধ্যে ফেরত দেবে বলে হাওলাত স্বরপ নেয়। এরপর ১ মাস ২মাস অতিবাহিত হলেও টাকা ফেরত দেয় নাই সাঈদ। এ বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে এবং কয়েকজনের মধ্যস্থতায়, আবু সাঈদ মে মাসের ৮ তারিখে টাকা সম্পর্ন ফেরত দেবে মর্মে ইসলামী ব্যাংকের ২৯৪৯৩ সঞ্চয়ী হিসাব নম্বরের ০০৬৭৭২০ নম্বরের চেকটি খলিলুর রহমানকে দেয়। এরমধ্যে আবু সাঈদ খলিলুরের সাথে আর কোন যোগাযোগ করে না। খলিলুর রহমান ৮ মে টাকা উঠাতে গেলে সেই একাউন্টে টাকা না থাকায়, একাউন্ট ধারী ব্যক্তি আবু সাঈদের সাথে ব্যাংক কর্মকর্তা বহুবার যোগাযোগ করে কোন সুরাহা না পেয়ে, ১৩ দিন পরে গত ২১-৫-২৫ ইং তারিখে ডিজ-অনার করে দেন।
এরপর আইন অনুযায়ী খলিলুর রহমান আবু সাঈদ বরাবরে উকিল নোটিশ পাঠান। আবু সাঈদ গত ২২-০৫-২৫ ইং তারিখে উকিল নোটিশ পেয়ে, একটি মিথ্যা মারামারির কাহিনী সাজিয়ে, নওগাঁ আদালতে খলিনলুর রহমানের দুই ছেলে নিরব,ফয়সাল ও সামায়ন নামের একটি ছেলেকে আসামি করে একটি মিথ্যা মামলা করে। যার নম্বর-১০৪০/২৫ নওগাঁ। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে নওগাঁ সদর মডেল থানায় তদন্তের জন্য পাঠিয়েছেন। স্থানীয়রা ও মামলার বিবাদীরা জানায়,কখনোই তার সাথে এমন কোনই মারামারি বা চাঁদার ঘটনা ঘটে নাই। আবু সাঈদের কাছ থেকে টাকা পাবে খলিলুর রহমান শুধু এই পাওনা টাকা, না দেওয়ার জন্যই হয়রানি মুলক এই মিথ্যা মামলাটি করেছে,এ ছাড়া আর কিছুই নয় বলে তারা জানায়।
এখানে সাংবাদিকদের অনুসন্ধানে একটি মজার বিষয় উঠে আসে। আবু সাঈদ মামলাতে উল্লেখ করেছে মারামারির ঘটনা ঘটেছে ২২-০৫-২৫ইং তারিখ সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটে। আর হাসপাতালের রিপোর্ট অনুসন্ধানে দেখা যায়, আবু সাঈদ ওই একই দিন তারিখ সকাল ১০টা ২০ মিনিটে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল এবং হাসপাতালের ছাড়পত্র অনুযায়ী ছুটি পেয়েছে ২৩ -৫-২৫ ইং তারিখে। এর অর্থ এসে দাঁড়ায়, আবু সাঈদ ২২তারিখ সকাল ১০.২০ মিনিটে হাসপাতালে ভর্তি হন,আর বিকেলে মারামারির ঘটনা ঘটে। ঘটনার আগেই ঐ ঘটনার জন্য সকালে হাসপাতালে ভর্তি হয় বিষয়টি নিয়ে একটি চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসীরা জানায়,এ ধরনের কোন ঘটনাই,সেখানে হয় নাই,পাওনাদারের টাকা ফেরত না দেওয়ার জন্য এই চালাকি বা হয়রানি মুলক মিথ্যা মামলা আবু সাঈদ করেছে।
মামলাটি তদন্তকারী অফিসার নওগাঁ সদর মডেল থানার এস আই এস আই মিজান জানান, এবিষয়ে তদন্ত চলমান আছে, এখনো শেষ হয় নাই এবং বিবাদী হাসপাতালের বিষয়টি তাকে অবগত করেছেন বলে জানান।
এ বিষয়ে আবু সাঈদের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে,সে জানায়, খলিলুরের সাথে আগে টাকা লেনদেনের বিষয় আছে। ২২ তারিখ সুন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় চাঁদা নিতে এসে মারামারি হয়েছিল,সে হাসপাতালে চিকিৎসাও নিয়েছে,আরো চিকিৎসা নেওয়া লাগতো কিন্ত বাড়ীতে কাজ থাকায় পরের দিন ছুটি নিয়ে, বাড়ী থেকেই চিকিৎসা করেছে বলে জানায়। সেই দিন তারিখে, এমন কোন ঘটনা ঘটে নাই সাংবাদিকদের তথ্য সেটাই উঠে এসেছে এবং আপনি তো একই দিন তারিখে সকাল ১০.২০ মিনিটে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, যার সকল তথ্য আমাদের হাতে এসেছে, এমন প্রশ্ন তাকে সাংবাদিক করলে,সে কোন উত্তর না দিয়ে ফোন বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে আর ফোন রিসিভ করে না।
মিথ্যা মামলা করলে কোন না,কোন বড় ধরনের ভুল থেকে যায় তাই বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ও সচেতন মহলের মধ্যে একটি হাস্যকর ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।