- বিচারের নামে ৪ ঘণ্টা অবরুদ্ধ
কে আর খান মুরাদ , নিজস্ব প্রতিবেদক: দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আদ-দ্বীন মোমেন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। ডা. তন্ময় ইসলাম নামে এক চিকিৎসককে মালামাল চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে শারীরিক নির্যাতন ও জোরপূর্বক জবানবন্দি আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার বিচার চাইতে গেলে উল্টো কলেজ কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কিছু ছাত্র নামধারী সন্ত্রাসী তাকে ও তার পরিবারকে ৪ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। ভুক্তভোগী ডা. তন্ময় ইসলামের অভিযোগ, সম্প্রতি তাকে হোস্টেলের রুমে আটকে রেখে কিছু শিক্ষার্থী মালামাল চুরির অপবাদ দেয়। এ সময় তাকে শারীরিক নির্যাতন করা হয় এবং জোরপূর্বক তার থেকে একটি জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। নির্যাতনের শিকার হওয়ার পর ডা. তন্ময় ইসলাম তার পরিবারকে বিষয়টি জানান। তার বাবা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় অভিযোগ জানালে থানা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি হাসপাতালের অধ্যক্ষের সাথে আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসা করার পরামর্শ দেয়।
পুলিশের পরামর্শে ডা. তন্ময়ের বাবা অধ্যক্ষের কাছে একটি লিখিত আবেদন জমা দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১০/০৯/২০২৫ তারিখে কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের আলোচনার জন্য ডাকে। ডা. তন্ময়, তার বাবা-মা এবং তন্ময় বাবার বন্ধু খুসরু রশিদ খান মুরাদ, (ঢাকা উত্তর সিটি রিপোর্টার চ্যানেল এস) ও সেলিম খন্দকার সেখানে উপস্থিত হন। সেখানে তাদের ডেকে এনে অধ্যাপক এম. গোলাম রহমান দুলাল এর নেতৃত্বে ফেরদৌস, আলফাহাদ, জিহাদুল, ছায়েম, আবুফুয়াদ, সারাফি, খন্দকার, আসিফ, হাসিফসহ কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী ছাত্ররা তাদের ৪ ঘণ্টা প্রতিষ্ঠানের কনফারেন্স রুমে অবরুদ্ধ করে রাখে। এ সময় তার মিছিল করে এবং তাদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
তন্ময়ের মাকে মানসিকভাবে নির্যাতন চালায়, তন্ময়ের মার আত্মচিৎকারে কম্পিত হয় সম্পূর্ণ ক্যাম্পাস তবও সন্ত্রাসীদের মনে মায়া জাগেনি এতোটুকুও,খবর পেয়ে তন্ময়ের বোন ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশের সাহায্য চাইলে, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা থেকে এএসআই রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি দল এসে তাদের উদ্ধার করে। পুলিশ এর সামনে তারা স্ট্যাম্প এনে পেশি শক্তির মাধ্যমে ভয় দেখিয়ে স্বাক্ষর নেন, ছাত্র নামক সন্ত্রাসীরা প্রতিটি ঘটনার প্রমাণ রয়েছে প্রতিষ্ঠানের সিসি ক্যামেরার। ভুক্তভোগীরা জানান উক্ত বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন, আদ-দ্বীন মোমেন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিষ্ঠানটি ছাত্র নামক সন্ত্রাসী ফেরদৌস, আলফাহাদ, জিহাদুল, ছায়েম, আবুফুয়াদ, সারাফি, খন্দকার, আসিফ, হাসিফ এদের নামে পাশে কখনো ডাক্তার হতে পারে না, ডাক্তার নামের মর্ম এরা কখনো উপলব্ধি করতে পারবে না, আদ-দ্বীন মোমেন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাতে জিম্মি হয়ে রয়েছে, এই ঘটনার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়েও গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। আদ-দ্বীন মোমেন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩৬৫ মোট ছাত্র /ছাত্রী রয়েছে, এর মাঝে ৯৫ জন ছাত্র, বাকি সব ছাত্রী।
জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবু এম ওমর ফারুককে ৩ কোটি টাকা আত্মসাতের মিথ্যা অভিযোগে অপসারণ করা হয়। অপসরণের মূল ঘটনায় ভূমিকা রেখেছে,কিছু ছাত্ররূপী সন্ত্রাসীরা, নিয়ম অনুযায়ী অধ্যাপক মিসেস মরিয়ম আক্তারের অধ্যক্ষ হওয়ার কথা থাকলেও তাকে বাদ দিয়ে অধ্যাপক এম. গোলাম রহমান দুলালকে অধ্যক্ষ পদে বসানো হয়। অভিযোগকারীদের মতে, গোলাম রহমান দুলাল গত ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সালে যোগদানের পর থেকেই নতুন নতুন এসব "নাটকের"সূত্রপাত হচ্ছে, সকল প্রকার অপকর্মের মূল নায়ক তিনি। এই সমস্ত ঘটনার নিরব সাক্ষী মশিউর রহমান অফিস সহকারীর নামও উঠে এসেছে। এছাড়া, হোস্টেল সুপার শান্ত’র বিরুদ্ধেও দায়িত্বে অবহেলা করার অভিযোগ উঠেছে। আবাসিক হল গুলোতে কোন সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা নেই, অভিযোগকারীদের দাবি, তার নিষ্ক্রিয়তার কারণেই নিরীহ শিক্ষার্থীরা প্রায়ই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের শিকার হচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের আর্থিক শোষণ ও নিরাপত্তা সংকট:
ছাত্রদের অভিযোগ, হোস্টেলে থাকা বাবদ ৩০০০ টাকা নেয়া হচ্ছে, পূর্বে থাকা ও খাওয়ার খরচ ছিল প্রতি মাসে ২ হাজার টাকা,যার ফলের ছাত্রদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে, ফেরদৌস, আলফাহাদ, জিহাদুল, ছায়েম, আবুফুয়াদ, সারাফি, খন্দকার আসিফ ও হাসিফ এরা যেকোনো ছাত্রকে আবরারের মত নৃশংসভাবে হত্যা করতেও দ্বিধাবোধ করবে না।
সম্প্রতি মাহিদ নামে এক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ফেরদৌস নামের এক ছাত্র ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় বলেও অভিযোগ উঠেছে, যেখানে অধ্যক্ষ নিজেই তাকে আশ্রয় দিয়েছেন। এই ঘটনাগুলো কলেজের শিক্ষাব্যবস্থা ও নিরাপত্তার ওপর গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। কর্তৃপক্ষ এখনও এই বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি।