Daily News BD Online

সুস্থ থাকতে সেহেরিতে যা করবেন, যা করবেন না


 বছর ঘুরে আবারও ফিরে এলো পবিত্র রমজান। সিয়াম পালনের এই মাসে ইবাদত-বন্দেগীর ফজিলত তুলনামূলক বেশি। কিন্তু শারীরিকভাবে সুস্থ না থাকলে আপনি চাইলেও কাঙ্ক্ষিত ইবাদত করতে পারবেন না। তাই এ মাসে সুস্থতার দিকে খেয়াল রাখা অত্যন্ত জরুরি।

রোজা রাখার জন্য এ মাসে মানুষের খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রায় লক্ষ্যণীয় পরিবর্তন আসে। এ মাসে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ভোররাতে সেহরি খাওয়ার মধ্য দিয়ে রোজা রাখেন। সেহরিতে যেমন তেমন খাবার খেলে স্বাস্থ্যঝুঁকি আছে, যা দৈনন্দিন কাজের পাশাপাশি ইবাদতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই সেহরিতে করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়ে সচেতন থাকা প্রয়োজন।

সেহরিতে করণীয় :

১. সেহরির খাদ্য তালিকায় প্রোটিন সমৃদ্ধ, আঁশযুক্ত, সুষম, দ্রুত হজম হয়ে যায় এমন খাবার থাকা চাই। আঁশ জাতীয় খাবার ধীরে হজম হয়, ফলে ক্ষুধা অনুভব কম হয় এবং পর্যাপ্ত শক্তি পাওয়া যায়। যেমন- গম বা গম থেকে তৈরি খাবার, রুটি, শাকসবজি, ফল, বাদাম, বিচি জাতীয় শস্য-সিমের বিচি, মটরশুটি ইত্যাদি।

২. রোজায় পানিশূন্যতা রোধে সহজে হজম হয় এমন শাকসবজি লাউ, ঝিঙে, পটল, চিচিঙ্গা, চালকুমড়া প্রভৃতিকে অগ্রাধিকার দিতে পারেন।

৩. প্রতিদিনের আমিষের চাহিদা পূরণে ও দেহের ক্ষয়পূরণে ছোট-বড় মাছ, মাংস, ডিম, ডাল, দুধ ও দুধ জাতীয় খাবার খাওয়া প্রয়োজন।

৪. দেহের পানির চাহিদা পূরণে ইফতার এবং সেহরির মাঝের সময়ে ২.৫ - ৩ লিটার বা ৬ থেকে ১৮ গ্লাস নিরাপদ পানি পান করতে হবে। রোজায় পর্যাপ্ত পানি পান করলে মাথাব্যথা, বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়েও সহায়ক হবে।

সেহরিতে যেসব কাজ/খাবার বর্জনীয় :

১. সেহরিতে বেশি খাওয়ার মানসিকতা পরিহার করতে হবে। ভাতের পরিমাণ কমিয়ে শাকসবজি এবং মাছ-মাংস ও অন্যান্য তরকারি খাওয়া উচিত হবে।

২. সেহরিতে চা এবং কফি পান না করাই ভালো। এগুলোতে থাকা ক্যাফেইন তৃষ্ণার সৃষ্টি করে, অ্যাসিডিটি উৎপন্ন করে এবং খাদ্যের পুষ্টি পরিশোষণে বাধা দেয়।

৩. সেহরিতে অতিরিক্ত তেল, মসলা ও চর্বি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন।

৪. তেহারি, খিচুরি, বিরিয়ানি প্রভৃতি সেহরিতে না খাওয়াই ভালো। এসব খাবার হজম করতে দেহে প্রচুর পানি পরিশোষিত হয়, যা তৃষ্ণা বাড়িয়ে দেয়।

৫. সেহরিতে অতি লবণাক্ত খাবার পরিহার করতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, উচ্চ মাত্রায় লবণ খেলে পিপাসা বেড়ে যায়।

৬. অনেকেই সারা দিন ধূমপান করতে পারবেন না বিধায় সেহরিতে একাধিক সিগারেট খান। যারা ধূমপান করেন তাদের জানা উচিত, রমজান মাস ধূমপান ত্যাগ করার একটি মোক্ষম সময়। রোজা শুরু হওয়ার ১০-১৫ দিন আগে থেকেই একটু একটু করে ধূমপান নিয়ন্ত্রণ করুন। রোজার সময় ধূমপান বর্জন করতে চেষ্টা করুন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন