সঞ্জয় সাহা (গোবিন্দগঞ্জ) : প্রতিবছই ঈদ এর সময় সড়ক দূর্ঘটনা বেড়ে যায়। এতে করে নিহত ও আহত হবার সংখ্যা বেড়ে যায়। ফলে ঈদে ঘর মুখো মানুষরা নির্বিঘ্নে নিজ নিজ বাসায় পৌছাতে পারেনা। এরই প্রেক্ষিতে আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে যাত্রীদের নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে ঘরে ফেরা এবং মহাসড়কে দুর্ঘটনা রোধকল্পে দুরপাল্লার চালক ও হেলপারদের জন্য গোবিন্দগঞ্জে রিফ্রেশ ক্যাম্প এর উদ্বোধন, বাস চালকদের মাঝে সচেতনতামুলক লিফলেট ও ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়ে ফুল বিতরণ করেছেন গাইবান্ধা জেলা পুলিশ সুপার কামাল হোসেন। পরে পলাশবাড়ীতেও বাস চালকদের মাঝে সচেতনতামুলক লিফলেট ও ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়ে চালক সহ সাংবাদিকদের মাঝে গোলাপ ফুল বিতরণ করেন।
গাইবান্ধা জেলা পুলিশের আয়োজনে বুধবার সকালে গোবিন্দগঞ্জে যাত্রীদের নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে ঘরে ফেরা এবং মহাসড়কে দুর্ঘটনা রোধকল্পে দুরপাল্লার চালক ও হেলপারদের জন্য রিফ্রেশ ক্যাম্প-এ রয়েছে হাত মুখ ধোয়ার ব্যবস্থা। পয়:নিস্কাশনের ব্যবস্থা। চা ও পানি পানের ব্যবস্থা সহ বিশ্রাম এর ব্যবস্থা।
এ সময় বক্তব্য রাখেন- গাইবান্ধা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সি সার্কেল উদয় কুমার সাহা, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ প্রধান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফ হোসেন, পলাশবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান এ,একে এম মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান, গাইবান্ধা জেলা ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোখলেসুর রহমান, গোবিন্দগঞ্জ অফিসার ইনচার্জ ইজার উদ্দিন, পলাসবাড়ী অফিসার ইনচার্জ মাসুদ রানা, তদন্ত অফিসার দিবাকর অধিকারী,গাইবান্ধা ট্রাফিক অফিসার ইনচার্জ নূর আলম সিদ্দিক, ট্রাফিক অফিসার জসিম উদ্দিন সহ অনেকে।
"কক্সবাজার থেকে ঠাকুরগাঁও উদ্দেশ্যে ঘরে ফেরা এনজিও কর্মী ( জিইউকে) বিমলা রায়" বলেন- গতকাল বিকেলে কক্সবাজার থেকে রনা দিয়েছি। দীর্ঘ একটা পথ আমরা পারি দিচ্ছি। অন্যদিকে প্রচন্ড রোদ ও গরম। এর মধ্যে পুলিশ প্রশাসন এই রিফ্রেশমেন্ট এর জন্য ক্যাম্প খুলেছে। এটি একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। বিশেষ ড্রাইভার ভাইদের জন্য সুবিধা হয়েছে বেশি। তারা দীর্ঘক্ষন গাড়ি চালানোর কারনে তাদের চোখে ঘুমের ভাব চলে আসে। এখানে হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হলে আর ঘুম ধরবে না। এতে করে সড়ক দূর্ঘটনা রোধ হবে।
ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড় গামী হানিফ পরিবহন এর চালক বলেন- দীর্ঘক্ষন গাড়ি চালানোর কারনে ঘুমের ভাব ধরে এবং একটানা গাড়ি চালাতে সমস্যাও হয়। পুলিশ প্রশাসন যে হাত মুখ ধোয়া ও পয়: নিস্কাশনের ব্যবস্থা করেছেন তা খুব ভাল হয়েছে৷ প্রতিনিয়ত এরকম ব্যবস্থা করলে আরও ভাল হত।
"গাইবান্ধা জেলা পুলিশ সুপার কামাল হোসেন" বলেন - আমরা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ঈদ উল ফিতর কে কেন্দ্র করে দুই ধরনের নিরাপত্তার পরিকল্পনা যেমন- সড়ক নিরাপত্তা পরিকল্পনা ও ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। ১৫থেকে ২২ রোজা পর্যন্ত এক পরিকল্পনা ও ২২ থেকে ৩০ রোজা অর্থাৎ চাদ রাত পর্যন্ত এক ধরনের পরিকল্পনা নিয়েছিলাম। তারই ধারাবাহিকতায় ২৪ ঘন্টার জন্য গাইবান্ধা জেলায় যে ৩২ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। সড়কে ৩ টি পয়েন্ট রয়েছে, গোবিন্দগঞ্জ, পলাশবাড়ী ও ধাপেরহাটে রেষ্টটিম জোন রয়েছে। এখানে তারা এখানে রেষ্ট নিতে পারবেন। ঘরমুখো ও নারীর টানে ফেরা যেসব যাত্রীগন নিজ এলাকায় আসতেছেন তারা যেন নির্বিঘ্নে ঈদ পালন করতে পারেন সে জন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য লিফলেট বিতরণ করলাম।
Tags
বাংলাদেশ