Daily News BD Online

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পলাশবাড়ী ৩ আসনে দলীয় এমপি মনোনয়নপ্রত্যাশী এ্যাড: জরিদুল হক


সঞ্জয় সাহা, গাইবান্ধা:

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা- পলাশবাড়ী সংসদীয়  ৩১-৩ আসনে আওয়ামীলীগ থেকে এমপি মনোনয়নপ্রত্যাশী তৃনমুল নেতা এ্যাড: জরিদুল হক। রাজনৈতিক জীবনে  জোট সরকার কর্তৃক তার বিরুদ্ধে  অসংখ্য মামলা ও অভিযোগ থেকে মুক্তি পেয়েছে। তিনি গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার তালুকজামিরা ইউনিয়ন এর ভেলাকোপা গ্রামের মৃত মোফাজ্জল হোসেন ও মৃত জমিলা খাতুনের পরিবারে ১৯৬৬ সালের ৩রা জুন জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষাগত যোগ্যতায় তিনি এম,এ, এল, এলবি পাশ। ব্যাক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত। তার স্ত্রী গুলনাহার বেগম একজন শিক্ষক। তাদের দুই সন্তানের মধ্যে বড় ছেলে মো: গালিব আল হক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের স্নাতক শেষ বর্ষে অধ্যয়নরত। ছোট ছেলে গাওস আল হক গাইবান্ধা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ এর এইচএসসি পরীক্ষার্থী।

তার জীবন বৃত্তান্ত সূত্রে জানা যায়- বর্তমানে তিনি গাইবান্ধা শহরের থানাপাড়াস্থ ২নং কলেজ রোডের গুঞ্জন গুহা নামক বাসায় বসবাস করছেন। ১৯৯৫ থেকে ১৯৯৬ সালে  রাজনৈতিক হয়রানি হতে তিনি বিভিন্ন চড়াই উৎরাই পেরিয়ে বর্তমানে একজন সফল রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী। ১৯৯৫ সালে বি,এন,পি ও জামায়াত রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকাকালীন সময় পলাশবাড়ী ৩ আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় তিনি জাতীয় পার্টির সদস্য থাকাকালীন অশুভক্তির আগ্রাসনে তাকে সাময়িকভাবে ইউপি চেয়ারম্যান পদ থেকে বরখাস্ত করে। পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী থাকাকালীন সাময়িক বরখাস্ত প্রত্যাহার করেন।

জনপ্রতিনিধিত্ব জীবনে- তিনি জেলা পরিষদ এর সাবেক সদস্য। পলাশবাড়ী উপজেলার ৯নং হরিনাথপুর ইউনিয়নে ৩ বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি ২০ বছর দায়িত্বপালন করেছেন। গাইবান্ধা জেলার সমগ্র চেয়ারম্যান ও সদস্য কর্তৃক বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ ফোরাম গাইবান্ধা জেলার সভাপতি ছিলেন।
২০০৯ সালে ৩য় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। ২০১৪ ইং সালে ৪র্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে  অংশগ্রহণ করেন।  নির্বাচনের জয়ের  সম্ভাবনা থাকা সত্বেও তৃণমূলের ভোটে বিজয়ী  না হয়ে দলীয়  সিদ্ধান্তের প্রতি আকন্ঠ হয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদীয় গাইবান্ধা ৩ আসনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। একাদশ  জাতীয়  সংসদ  উপ-নির্বাচনে গাইবান্ধা ৩ আসনে দলীয়  মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থী ছিলেন।



উল্লেখ্য, রাজনৈতিক জীবনে তিনি- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গাইবান্ধা জেলা শাখার সদস্য। জেলা বার এ্যাসোসিয়েশন সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আর আগে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গাইবান্ধা জেলা শাখার সাবেক প্রচার-প্রচারণা সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ গাইবান্ধা জেলা শাখার সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। বাংলাদেশ  কৃষকলীগ পলাশবাড়ী উপজেলা শাখার সাবেক যুগ্ন আহবায়ক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পলাশবাড়ী  উপজেলা শাখার যুগ্ন আহবায়ক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ৯ নং হরিনাথপুর ইউনিয়ন শাখার একাধিকবার সাধারণ সম্পাদক এবং ছাত্রলীগের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

"আওয়ামীলীগ এমপি  মনোনয়নপ্রত্যাশী তৃনমুল নেতা এ্যাড: জরিদুল হক" বলেন-আমি পলাশবাড়ী - সাদুল্যাপুর সংসদীয় আসন ৩১ এ দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। যদি জননেত্রী শেখ হাসিনা তার বিবেচনা ও বিচক্ষণতায় যদি মনে করে আমাকে সৎ ও তৃণমূলের কর্মী হিসেবে বিবেচনা করে মনোনয়ন দান করে তাহলে তিনি আশা রাখেন- বাংলাদেশের উন্নয়নের যে অগ্রযাত্রা সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশ মডেল হিসেবে অবস্থানে রয়েছে। এখন আমরা উন্নত বাংলাদেশে স্মার্ট নাগরিক হিসেবে অবস্থান করছি। এই উন্নয়নের অগ্রযাত্রা কে সমুন্নত রাখতে গিয়ে তার উপর অর্পিত দায়িত্ব অত্যন্ত নিষ্ঠা,  স্বচ্ছতা ও পরিচ্ছন্নতার  সাথে দৃঢভাবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন