মমিনুল ইসলাম, ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি :
ময়মনসিংহের ত্রিশাল-পোড়াবাড়ী সাড়ে ছয় কিলোমিটার সড়কটি দীর্ঘদিন বেহাল থাকার পর শুরু হয়েছে সংস্কার কাজ। তবে ধীর গতির সংস্থার কাজে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে স্থানীয়রা। কাজ শুরু হওয়ার কিছুদিন পরই ঠিকাদারের প্রতিনিধি গ্রেফতার হওয়ায় মাসখানেক বন্ধ ছিল কাজ। পরে আবার কাজ শুরু হলেও তা অল্প শ্রমিকে ধীর গতিতে চলছিল। এ অবস্থায় ঈদের পর সপ্তাহ পেরোলেও এখনো শুরু হয়নি কাজ। এদিকে সড়কটির বেশিরভাগ অংশের কার্পেটিং তোলে ইটের শুলকি ফেলায় কয়েক মাস যাবত নিয়মিতই ধুলাবালি খেতে হচ্ছে চলাচলকারীদের। চলাচলকারীদের নাক,কান, মুখসহ সারা শরীর লেপ্টে যাচ্ছে ধুলাবালিতে। অভিযোগ রয়েছে ধুলাবালি ঠেকাতে পানি ব্যবহার করার কথা থাকলেও তা মানছে না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ডিসিএল। আবার কোথাও কোথাও খনন করে গর্ত করে ফেলে রেখেছে তারা। এতে বৃষ্টির পানি পড়ে সৃষ্টি হয়েছে আরও বড় গর্ত। এ গর্তেই আটকে যাচ্ছে মালবাহী গাড়ি। এতে যানজট সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি বাড়ছে দূর্ঘটনার ঝুঁকি।
উপজেলা প্রকৌশল দপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সবচেয়ে ব্যাস্ততম আঞ্চলিক এ সড়কটির সংস্কার কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ডিসিএল। এবছরের জুন মাসেই তাদের কাজ শেষ করার কথা রয়েছে।
সড়কের অলহরী ঘাটপাড় মোড় এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের খনন করা অংশের গর্তে আটকে রয়েছে একটি মালবাহী অটোরিকশা। এর পিছনেই আটকে আছে আরও কয়েকটি যানবাহন। দীর্ঘ চেষ্টার পর গাড়িটি তুলতে না পারায় পেছনে আটকে থাকা আরেকটি গাড়ি ধাক্কা দিয়ে তুলতে চেষ্টা করছে অটোরিকশাটিকে। এসময় স্থানীয়দের সাথে কথা হলে তারা জানান, এর ঘন্টাখানেক আগেও একটি মালবাহী ট্রলিগাড়ি আটকে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল ঘন্টাদেড়েক।
দীর্ঘদিন পর কাজ শুরু হওয়ায় উচ্ছ্বসিত হয়েছিল এলাকাবাসী। তবে ধীরগতির কাজে ভোগান্তি বাড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সড়কে চলাচলকারীরা। দ্রুত সংস্কার কাজ শেষ করার দাবি জানান তারা।
এ সড়কে চলাচলকারী সুমন, কাজল, আফজাল, বাদলসহ আরও কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা বলেন, 'প্রতিবারই চলাচলের পর বাড়ি পৌঁছে গোসল করতে হয় এবং চুলে শ্যাম্পু করতে হয়। কয়েকমাস হয়ে গেলো এভাবে চলছি। রাস্তার ধারের বাড়ি গুলোতে ধুলাবালির জন্য থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। কেউ কেউ নিজ বাড়ির সামনের অংশে দিনে কয়েকবার পানি ছিঁটিয়ে ধুলাবালি থেকে নিরাপদে থাকার চেষ্টা করছে। এই সড়ক ব্যবহার করেই প্রতিদিন স্কুল-কলেজে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।'
ত্রিশাল উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুজ্জামানের কাছে কাজের অগ্রগতি ও ভোগান্তির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'ঈদের কারণে এখন কাজ বন্ধ রয়েছে। এ পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি ৩৫ শতাংশ। বাকী ৬৫ শতাংশ কাজ দেড় মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবে। তবে কাজ চলাকালীন কিছুটা জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। যতদূর সম্ভব এটা কমানোর চেষ্টা করা হবে।'
Tags
বাংলাদেশ