সঞ্জয় সাহা:
অন্যদিকে বিদ্যুৎ এর ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে মানুষ দূর্বিসহ অবস্থার মধ্যে দিনাদিপাত করছে। গ্রামে চাহিদার তুলনায় ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ বিদ্যুৎ থাকেনা। শহরেও ৬ থেকে ৭ ঘন্টার বেশি বিদ্যুৎ থাকেনা। দিনের বেলাও অধিকাংশ সময় থাকে লোডশেডিংয়ে আচ্ছন্ন। ঘন ঘন লোডশেডিং এর কারনে নষ্ট হচ্ছে কম্পিউটার সহ ইলেক্ট্রনিক প্রয়োজনীয় সব আসবাবপত্র।
এরই প্রেক্ষিতে দেশজুড়ে অসহনীয় লোডশেডিং, বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক দূর্নীতি ও নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবীতে গাইবান্ধায় অবস্থান কর্মসূচী ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ নেসকো ১ এর নির্বাহী প্রকৌশলীর হাতে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি গাইবান্ধা জেলা শাখার আয়োজনে বৃহস্পতিবার সকালে শহরের বিএনপি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচী করেন নেতাকর্মীরা। এরপর মাষ্টারপাড়াস্থ
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ নেসকো ১ এর নির্বাহী প্রকৌশলীর হাতে স্মারকলিপি প্রদান করেন: জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক ডা: মইনুল হাসান সাদিক, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, গ্রাম সরকার বিষয়ক সম্পাদক আনিসুজ্জামান খান বাবু সহ অনেকে।
বক্তারা বলেন- বিদ্যুৎ এর ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে বসতবাড়ির পাশাপাশি বিদ্যুৎ এর অভাবে ক্ষুদ্র, মাঝারী ও বৃহৎ শিল্প কলকারখানায় উৎপাদন ব্যাপকভাবে ব্যহত হচ্ছে ও পর্যায়ক্রমে সেগুলি বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এতে কর্মহীন হবে লক্ষ লক্ষ মানুষ। বিদ্যুৎ উৎপাদন না করেই ক্যাপাসিটি চার্জের নামে ২০ হাজার কোটি টাকার উপরে পরিশোধ করা হচ্ছে। এই লুটপাতের পরিনতি হচ্ছে অভাবনীয় লোডশেডিংয়ের আত্নপ্রকাশ।
"এ বিষয়ে বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ নেসকো-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলীর" সাথে সরাসরি সাক্ষাৎকালে তিনি জানান- আমাদের বিদ্যুৎ এর চাহিদা রয়েছে ১৫ মেগাওয়াট। কিন্তু আমরা পাচ্ছি ৫ মেগাওয়াট। চাহিদার চেয়ে সরবরাহ কম থাকায় আমরা লোডশেডিং দিতে বাধ্য হচ্ছি।