এসএম মিরাজ হোসাইন টিপু :
ডেমরার টি আই সুলতানের চাঁদাবাজিতে অসহায় হয়ে পরেছে পরিবহন ব্যবসায়ী ও পরিবহন শ্রমিকরা।
রাজধানীর ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার এলাকায় ট্রাফিক ইন্সপেক্টর টি আই সুলতানের বিরুদ্ধে বেপরোয়া ভাবে সকল ধরনের পরিবহন থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ডেমরা এলাকার পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের দেয়া তথ্যমতে জানা গেছে আসমানী পরিবহন, সহ সকল ধরনের পরিবহন থেকে মাসিক মাসোহারা হিসাবে ব্যাপক ভাবে চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে এই টি আই সুলতান।
এছাড়াও ডেমরা এলাকায় অবস্থিত বিভিন্ন শিল্পকারখানা যেমন, জহির স্টিল মিল, শাহরিয়া স্টিল মিলসহ বিভিন্ন মিল কারখানার পরিবহন থেকে মাসিক হারে চাঁদা আদায়ের তথ্য পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগীদের দেয়া তথ্যমতে আরোও জানা গেছেযে,এসকল স্টিল মিলের স্ক্রাব ও রড বোঝাই ট্রাক ও লড়িগুলো থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করে যাচ্ছে টিআই সুলতান। সরজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ড, লেগুনা স্ট্যান্ড, সুলতানা কামাল ব্রীজের ঢালে, ঢাকাগামী পরিবহনে চেক পোস্ট বসিয়ে মামলার ভয় দেখিয়ে প্রকাশ্যেই চাঁদাবাজি চলছে তার, অন্যদিকে রাতের আধারে বিভিন্ন বালুর ট্রাক, স-মিলের ওভারলোড করা গাছের ট্রাক বিভিন্ন জেলা থেকে আসা মুরগি বোঝাই গাড়িসহ নানা পরিবহন থেকে সার্জেন্ট ও কনস্টেবলদের মাধ্যমে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করে চলেছেন তিনি।
এবিষয়ে ডেমরা এলাকার বিভিন্ন মিল ফ্যাক্টরিতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে বেশির ভাগ চাঁদাবাজিই হচ্ছে মাসিক চুক্তি ভিত্তিক।
ডেমরা এলাকার একজন কাঠ ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলে জানা গেছে তাদের গাছ ভর্তি ট্রাকগুলো সুলতানা কামাল ব্রীজ পার হয়ে সিকদার সিএনজি পাম্প পর্যন্ত আসা মাত্রই প্রত্যেকটা ট্রাক হইতে আড়াই হাজার টাকা হারে চাঁদা দিতে হয় ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ও টি আই সুলতানকে।
কেউ চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে মামলার ভয় ভীতি দেখানো হয়, তাই তারা চাঁদা দিতে বাধ্য হয়।
প্রতিটি পরিবহনের ড্রাইভার ডেমরা দিয়ে ঢুকতেই তারা আতঙ্কে পড়ে যায়। জুলাই অভ্যুত্থানের পরে বাংলাদেশের কোনো জেলাতেই পরিবহন মালিক,শ্রমিক ও ড্রাইভারদের তেমন কোনো চাঁদা দিতে হয়না।
কিন্তু ডেমরায় ঢুকলেই টিআই সুলতানের মামলার আতংকে থাকেন তারা, আর সেই মামলা থেকে রেহাই পেতে বাধ্যতামূলক চাঁদা দিতে হচ্ছে তাদের।
তাই এই এলাকার অসহায় পরিবহন মালিক, শ্রমিকরা এই চাঁদাবাজ টি আই সুলতানের হাত থেকে রক্ষা পেতে সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।