Daily News BD Online

নওগাঁর মান্দায় থানায় জিডি করায়,বাড়ী থেকে ধরে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন


 এ.বি.এম.হাবিব :

 নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার মৈনম ইউনিয়নের শাহ পাড়ায় আব্দুস ছালাম নিরাপত্তার কারণে থানায় জিডি করায় আসামীরা নোটিশ পেয়ে বাড়ী থেকে ধরে এনে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভীকটিমের স্ত্রী ৯৯৯ ফোন ফোন দিলে, মান্দা থানার পুলিশ এসে উদ্ধার করেছে।


ভিকটিমের ভাই মোয়াজ্জেম ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, রোজার প্রথম দিন থেকে মৈনম শাহ পাড়ার মোয়াজ্জেম ও ছালামের বাড়ীর দরজার কাছে থেকে স্থানীয় সন্ত্রাসী সাইফুল,পিতা-মৃত মুসলেম শাহ। বাবু সুইট,পিতা-আশরাফ সোনার। বকুল,পিতা-মৃত- ওহির শাহ। পিন্টু শাহ,পিতা মৃত-পিয়ার শাহ। ফজলু,পিতা মৃত- পিয়ার শাহ।  হাফিজুল,পিতা-শমসের। সুজন,পিতা- আইয়ুব শাহ। শমসের, পিতা মৃত- ইসমত খলিফা সহ অজ্ঞাত ৪/৫ জন মিলে তাদের বাড়ী থেকে বের হওয়ার রাস্তায় জোর পূর্বক বেড়া দিয়ে, তাদের যাতায়াতে বাঁধা সৃষ্টি করে।  এ বিষয় নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে লিখত অভিযোগ করেন তারা। সেখানে কোন সুরাহা না পেলে পরবর্তীতে মান্দা থানায় এসব বিষয়কে কেন্দ্র করে হত্যার হুমকি-ধমকি বিষয়ে একটি জিডি করেন। থানা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করে কোর্টে পাঠিয়ে দেন।  কোর্ট  বিষয়টি এন,জি,আর মামলা হিসেবে গ্রহন করে আসামীদেরকে নোটিশ করেন। স্থানীয়রা জানায়,আসামীরা নোটিশ পেয়ে আরো ক্ষিক্ষিপ্ত হয়ে যায় এবং তারা সারা পাড়ায় বলতে থাকে, যত মামলা করবে, তাদেরকে ততো  মারপিট করা হবে। এই বলে সকল আসামীরা হাতে দেশী অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে শনিবার (১৫ জুলাই) সকাল ৭টার সময়,প্রথমে ভিকটিমের বড় ভাই মোয়াজ্জেমকে ধরে তার কাছে থাকা মোবাইল ফোন যার নং-০১৭৪৬-৮৩০২২৯ কেড়ে নিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করতে শুরু করে। সে প্রান বাঁচাতে দৌড়ে বাড়ীতে প্রবেশ করে খিল দিলে,আসামীরা বাহির থেকে শিকল তুলে দেয়। এরপর আসামীরা ভীকটিম ছালামের বাড়ীতে ঢুকে প্রথমে তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়।  যার নম্বর-০১৭৩৩-৫২৫৯৪৯,তাকে বাড়ী থেকে টেনে-হিচড়ে বাহির করে হাতও পা বেঁধে এলোপাতাড়ি ভাবে মারতে শুরু করে। ভীকটিমের বাড়ীতেও শিকল তুলে দেয় আসামীরা।  ভীকটিমের স্ত্রী কোন উপায় না পেয়ে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে, মান্দা থানা থেকে পুলিশ এসে ভীকটিমকে হাত-বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে মান্দা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যেতে লেগে, ভীকটিমের অবস্থার অবনতি দেখে, তাকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।  বর্তমানে ভীকটিম ছালাম নওগাঁ সদর হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পান্জা লড়ছেন। 

এ বিষয়ে মৈনম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আনিছুর রহমান এর কাছে মোবাইলে কথা হলে তিনি জানান, বিষয়টির অভিযোগ পাওয়ার পর দু,পক্ষকে নিয়ে বসার জন্য চেষ্টা করেছেন। কিন্তু এক পক্ষ  রাজি থাকলেও অন্য পক্ষরাজি না থাকায়, থানায় আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি বলে জানান। সংবাদ লিখার আগ মূহুর্ত পর্যন্ত রোগীকে চিকিৎসা কাজে ব্যাস্ত দেখা যায় ভীকটিম পক্ষকে। ভীকটিমের বড় ভাই মোয়াজ্জেম জানান, রোগীর ব্যাস্ততা কেটে উঠলে তারা থানার আশ্রয় নেবেন বলে জানান।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন