মোঃমশিয়ার রহমান টিংকু/মহেশপুরঃ
জানাগেছে, ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুরে গোকুলনগর বীজ উৎপাদন খামারের নিকটবর্তী দত্তনগর সরকারি প্রথামিক বিদ্যালয়ের সামনে পুকুর পাড়ে ঝড়ে ২ টি গাছ পড়ে ছিল।
ইজাদাররা পুকুর টি মাছ চাষের উপযোগী করতে গেলে গাছ দুটি পুকুরের পানির মধ্যে পড়ে কাদার ভিতর আটকে যায়।কিছু ডালপালা ও গাছের গুড়ি কেটে পুকুর পাড়ে তোলা হয়।এবং কিছু ডাল কেটে পুকুর পাড়ের পাইলিং করা হয়।
এবিষয়ে উপ-পরিচালক সঞ্জয় দেবনাথ বলেন, খামারের যুগ্ম পরিচালক এ কে এম কামরুজ্জামান কোন তদন্ত না করেই শোকজ চিঠি দেন। এবং একই চিঠি বিএডিসির অতিরিক্ত মহা মহাব্যবস্থাপক খামার, মহাব্যবস্থাপক বীজ, সদস্য পরিচালকে অনুলিপি কপি দেন।এ বিষয়ে সাব ইজারাদার হামিদ ও খোকন এ প্রতিবেদকে জানান, আমরা পুকুর টি সাব ইজারা দার হিসেবে কাজ করছি পুকুর টি মাছ চাষের উপযোগী করতে পুকুর টি খনন করেছি পাড় বেধেছি, অতিরিক্ত মাটি দিয়ে স্কুলের মাঠ ভরাট করেছি। গাছের ডাল দিয়ে পাইলিং করেছি।সামনের রাস্তা টি রক্ষা করেছি ।
উপ-পরিচালক সঞ্জয় দেবনাথ আরও জানান, ইজাদাররা তাদের কাজের সুবিধার্থে খামার কর্তৃপক্ষ কে না জানিয়ে গাছের গুড়ি পাড়ে উঠিয়ে রাখেন ও ২৪ টি গাছের ডাল দিয়ে পাইলিং করেন।তিনি আরও জানান পূর্বকার উপ-পরিচালক জাহিদুর রহমান বিগত ৩১/১/২০২৩ তারিখে গাইড ওয়াল নির্মানের জন্য চাহিদা পাঠান কর্তৃপক্ষের কাছে ১৬ লক্ষ ৯১ হাজার ৭০৫ টাকা।
সে গাইড ওয়ালটি পুকুর খনন ও পাড় বাধার কারণে গাইড ওয়ালের কাজ হয়ে গেছে এবং সরকারি টাকা উপচয় রোধ হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।তিনি আরো জানান আমার বিরুদ্ধে গাছ চুরির অভিযোগ টি মিথ্যা ভিত্তিহীন।
আমি ষড়যন্ত্রের শিকার মাত্র। এ বিষয়ে খামারের একজন কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন স্যার কে ফাঁসানো হয়েছে উনি খামার রাজনীতির ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছেন। বিষয়টি পূর্ণ ও সুষ্ঠ তদন্ত হলে আসল ঘটনা বেরিয়ে আসবে।