ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি :
শরৎ মানেই নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা আর কাশফুলের শুভ্রতা। শরৎ প্রকৃতিকে সাজিয়ে তোলে কাশফুলের অপার সৌন্দর্য্য দিয়ে। কাশফুল বা কাশবন পছন্দ করে না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। প্রকৃতিতে পালাবর্তনে কাশফুলের সৌন্দর্য্য মানুষ ছুটে আসে কাশবনে।
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার খয়েরবাড়ী ইউনিয়ন এর মধ্য দিয়ে বয়ে চলা যমুনা নদীর চরাঞ্চলের ১ কি:মি: জুড়ে রয়েছে কাঁশফুলের বিশাল সমারোহ। যান্ত্রিক জীবনের কোলাহল ছেড়ে মুক্ত আনন্দ পেতে প্রতিনিয়ত মানুষ ছুটে আসছে এ কাশবনে। বিশেষ করে শেষ বিকেলের মুহুর্তে এটার সৌন্দর্য আরো অনেকগুণ বেড়ে যায়। এ কারনে বেশিরভাগই আসছেন বিকেলে।
সাদা শুভ্র মেঘের ঝিলিকে কাশফুলের সৌন্দর্য এক কথায় প্রকাশ করা দুষ্কর।এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রকৃতিপ্রেমীদের মিলনমেলা ঘটে কাঁশবনে। আগে হয়তো অনেকে এতটা কাঁশফুল নিয়ে মানুষের মাঝে এতো মাতামাতি ছিল না। তখন শরৎ নির্দিষ্ট নিয়মে আসতো কাঁশফুল নির্দিষ্ট নিয়মেই ফুটতো।
কিন্তু বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে কাশফুল নিয়ে মাতামাতি বেশি হচ্ছে। শরৎ কালে কাঁশফুলের সাথে ছবি তোলা এক সাধারণ ব্যাপার হয়ে উঠেছে।
শনিবার(২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় যমুনার তীরবর্তী এ কাশফুল বাগানের সৌন্দর্য্য উপভোগ করছেন দর্শনার্থীরা। প্রিয়জনকে নিয়ে প্রকৃতির সাথে একাকার করে দিতে হাজির হয়েছেন প্রকৃতিপ্রেমিক। কেউ আসছে প্রেমিক-প্রেমিকা নিয়ে, কেউ আসছে পরিবার বা বন্ধু-বান্ধব নিয়ে। প্রতিদিন দর্শনার্থীরা কাশবনে সেলফি বা নিজের ছবিটা ক্যামেরা বন্ধি করছে।
উপজেলার রাঙ্গামাটি গ্রামের প্রকৃতিপ্রেমি অনিমা রানী জানান, মানসিক শান্তি আর কাশফুলের শুভ্রতা উপভোগ করতে এখানে প্রিয়জনকে নিয়ে ছুটে এসেছি৷
কাশফুল দেখতে আসা তন্ময় সরকার জানান,কাশফুল ছাড়া শরৎ পরিপূর্ণ না। যমুনার এই তীরে প্রতিবছরই কাশফুল ফুটে।তাই বন্ধুদেরকে সাথে নিয়ে আসছি কাশফুলের এই অপরুপ দৃশ্য দেখতে।##
Tags
বাংলাদেশ