দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি :
প্রত্যক্ষদর্শীরা 
জানান, নিয়ম অনুযায়ী আন্তঃনগর ট্রেনের গার্ডের কাছে লাইন ক্লিয়ারেন্স পেপার
 হস্তান্তরের কথা থাকলেও তা ছাড়াই ট্রেনটি স্টেশন ত্যাগ করে। বিপরীত দিক 
থেকে একটি মালবাহী ট্রেন দিনাজপুর অভিমুখে আসছিল। স্টেশন মাস্টার ফারহানা 
ইয়াসমিন জলি তৎক্ষণাৎ পতাকা হাতে ছুটে গিয়ে আন্তঃনগর ট্রেনটি থামান। 
ততক্ষণে ট্রেনটি ষষ্ঠীতলা রেল গেট এলাকায় পৌঁছে গিয়েছিল।
মাত্র
 ৭ মিনিট পর মালবাহী ট্রেনটি ষষ্ঠীতলা অতিক্রম করে। এই ঘটনা যাত্রীদের 
মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এক যাত্রী বলেন, আমরা অল্পের জন্য প্রাণে 
রক্ষা পেয়েছি। ভাবতেই গায়ে কাঁটা দিচ্ছে।ঘটনার পর স্টেশন মাস্টার ফারহানা 
ইয়াসমিন জলি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, ঘটনা সামলাতে গিয়ে 
আমি খুবই দুর্বল বোধ করছি এবং এখনও আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে পারিনি।
অতিরিক্ত
 দায়িত্বে থাকা রেলওয়ে সুপারিন্টেনডেন্ট এবিএম জিয়াউর রহমান ইঞ্জিনচালক মো.
 মোতালেব ও গার্ড মো. তৌফিকের নাম নিশ্চিত করেন। তবে কেন নিয়ম ভঙ্গ করে 
ট্রেনটি স্টেশন ত্যাগ করল, তা নিয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা পাওয়া 
যায়নি।এ ঘটনায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব পালনে বড় গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে।
 যাত্রীরা এমন অব্যবস্থাপনার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং দোষীদের দ্রুত 
শাস্তি দাবি করেছেন।স্থানীয়রা জানান, রেল যোগাযোগে এ ধরনের নিয়মভঙ্গ বারবার
 হলে বড় দুর্ঘটনার ঝুঁকি থেকে যাবে। তারা এ ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে 
দোষীদের শাস্তির আওতায় আনার আহ্বান জানান।
Tags
বাংলাদেশ
