Daily News BD Online

তারেক রহমানের জন্মদিনে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ছাত্রদল নেতা পিয়াস খন্দকার

 


তারেক রহমানের ৬০তম জন্মদিন উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক মোঃ পিয়াস খন্দকার। তিনি এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, শুভ জন্মদিন বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের আস্থা ও নির্ভরতার শেষ ঠিকানা, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আপোষহীন সৈনিক, বাংলাদেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় নেতা, মজলুম জননেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান। বিজ্ঞপ্তিতে তিনি দেশবাসীর নিকট দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগ মুক্তি কামনায় ও তারেক রহমানের জন্য দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া প্রার্থনা করেছেন। তিনি জানান, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক এ বছর তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে আমাদের কোন কর্মসূচি নেই।

পিয়াস খন্দকার বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে এসময়ের সবচেয়ে যোগ্য, মেধাবী ও দূরদৃষ্টি সম্পন্ন রাজনীতিক তারেক রহমান। এদেশের কোটি তরুণ ও যুবসমাজের কাছে তিনি আইডল। বাংলাদেশের ২০ কোটি মানুষের চিন্তায় তিনি আগামীর রাষ্ট্রনায়ক। স্বাধীনতার ঘোষক ও আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, মাদার অব ডেমোক্রেসি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর পরে বাংলাদেশের আগামীর রাজনীতিতে তারেক রহমানের নামটিই এখন উচ্চারিত হচ্ছে সগৌরবে। 


তারেক রহমান সারা বিশ্বের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ক্যারিশম্যাটিক নেতা দাবী করে এই ছত্রনেতা বলেন, তাঁর তৃণমূলের রাজনীতি নিয়ে এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গবেষণা হচ্ছে। সম্প্রতি ক্যামব্রিজের রিজেন্ট স্ট্রিটে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি আর্মস-এর চার্চিল অডিটোরিয়ামে তারেক রহমানের রাজনৈতিক চিন্তা ও ভাবনা নিয়ে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাজনীতিক ও গবেষকরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা হয় তারেক রহমানের রাজনীতি নিয়ে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে এসময়ে বহুল আলোচিত ও সমাদৃত তারেক রহমানকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে তুলে ধরেছেন তারা। এতে বলা হয়েছে, তারেক রহমান বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করেন। তিনি পরনির্ভরশীলতার জাল ছিন্ন করে দেশের মানুষকে উন্নত জাতির মর্যাদায় উন্নীত করতে চান। তারেক রহমানের রাজনৈতিক দর্শন নিয়ে সেমিনারে বক্তব্য দেন ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডের সাবেক ডিরেক্টর ফ্রান্সিস ডেভিস, ইয়ং ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর ডেভিড এগলার ও ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের প্রাক্তন সদস্য জন ক্লেটন। ফ্রান্সিস ডেভিস বলেন, তারেক রহমানের রাজনৈতিক দর্শণ মানুষের মাঝে, বিশেষ করে বাংলাদেশীদের মনে একটি স্বপ্নের বীজ বুনতে পারে। একটি উন্নত ও মানবিক রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখেন তারেক। তার স্বপ্ন মানুষের উন্নয়ন ও দেশের সমৃদ্ধি নিয়ে। তিনি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করছেন। এটা খুব সুন্দর উদ্যোগ।


পিয়াস খন্দকার বলেন, তারেক রহমান দল এবং দেশের জন্য অনন্য সম্পদ। তারেক রহমানের বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন হবে আওয়ামী লীগের অপরাজনীতির কবর রচনা। এই ভয় থেকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন পতিত সরকার তারেক রহমানকে দীর্ঘদিন দেশে ফিরতে দেয় নি। ওয়ান ইলেভেন সরকারের সময়ে তাঁকে কারাগারে যেতে হয়, নির্যাতনের শিকার হতে হয়। একপর্যায়ে চিকিৎসার জন্য তিনি লন্ডনে যান। সেখান থেকেই ধীরে ধীরে তিনি দল পরিচালনায় সম্পৃক্ত হন। তারেক রহমানের আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা আওয়ামীলীগের অপরাজনীতির জন্য আতংক হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই শেখ হাসিনা ও তার দল তারেক রহমানকে আগামী দিনের প্রধান প্রতিপক্ষ ভেবে রাজনীতি থেকে মাইনাস করার নানা ফন্দি আঁটছেন। ফ্যাসিস্ট সরকার ও তার প্রশাসন মিথ্যা মামলা ও সাজা দিয়ে এমনকি গণমাধ্যমে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রদানে নিষেধাজ্ঞা জারি করে জনগন থেকে বিচ্ছিন্ন করার অপচেষ্টা হয়েছিল। মিথ্যাচার, প্রোপাগাণ্ডা ছড়িয়ে তাঁর ইমেজ ক্ষুন্ন করার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হয়েছিল। কিন্তু তারা সফল হয়নি, শেষ বিচারে তারেক রহমানেরই জয় হয়েছে। গণঅভ্যূথাণে শেখ হাসিনাকে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে আর তারেক রহমান জনগনের হৃদয়ে আসন করে নিয়েছেন।


তিনি ২২ বছর বয়সে ১৯৮৮ সালে বগুড়ার গাবতলী থানা বিএনপির সদস্য হন। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে সংগঠনে যোগ দেওয়ার আগেই রাজনীতিতে অত্যন্ত সক্রিয় ছিলেন।  ২০০২ সালে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন তিনি। এর পরই দেশব্যাপী দলের মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে ব্যাপক গণসংযোগ শুরু করেন।

মূল সংগঠনসহ যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে তৃণমূল সভা আয়োজন করা হয়। মূলত এই জনসংযোগ কার্যক্রমের ফলে দলের নেতাকর্মীর তরুণ অংশটির মাঝে তারেক রহমান শুধু দলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধানমন্ত্রীর সন্তানের পরিচিতি থেকে বেরিয়ে এসে বিএনপির একজন দক্ষ সংগঠক ও সক্রিয় নেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।

গত ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের আগে আওয়ামী লীগ সরকার তাঁকে রুখতে সরকার আইন-আদালত শুরু করে সব শক্তি কাজে লাগিয়েছে। ইতিহাসের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে আদালতের আদেশের মাধ্যমে মিডিয়ায় তাঁর বক্তব্য প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা পর্যন্ত জারি করেছে। তবে এটিও সত্য অব্যাহত ফ্যাসিবাদী নিপীড়ন তারেক রহমানকে আরো বেশি জনপ্রিয় করে তুলেছে। ২০০৯ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিএনপির পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিলে এবং ২০১৬ সালে ষষ্ঠ কাউন্সিলে তিনি দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে যুক্তরাজ্য থেকেই দায়িত্ব পালন করছেন।

গোটা জাতি এখন তারেক রহমানের অপেক্ষায়। তাদের বিশ্বাস তারেক রহমানই পারেন ফ্যাসিবাদী সরকারের দু:শাসনে ক্ষত-বিক্ষত এ জাতিকে রক্ষা করতে। দেশের ২০ কোটি মানুষ এখন তাঁর আগমনের প্রতীক্ষায়। তারেক রহমান ইনশাআল্লাহ দেশে ফিরে আসবেন সহসায় গণতন্ত্রের এক বিজয়ী সেনাপতি হিসেবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন