সপ্তাহের ব্যবধানে রাজশাহীর বাজারগুলোতে বেড়েছে মুরগির দাম। সব ধরনের মুরগির দাম কেজিতে ২০ থেকে ৬০ টাকা বেড়েছে। এছাড়া সবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। তবে মুদি দোকানের বেশিরভাগ পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। বিশেষ করে চাল, ডাল ও তেলের দাম বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জন্য দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শনিবার (২২ মার্চ) নগরীর সাহেববাজার, শালবাগান বাজার, লক্ষ্মীপুর কাঁচাবাজার ও কোর্ট বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শীত ও গ্রীষ্মকালীন সব ধরনের সবজি আগের সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে। শিম ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, বড় আকারের ফুলকপি ১০ থেকে ১২ টাকা পিস, বাঁধা কপি বড় সাইজের ২৫ থেকে ৩০ টাকা পিস, প্রতিটি লাউ ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পাকা টমেটো ২০ থেকে ২৫ টাকা, গাজর ২০ থেকে ২৫ টাকা, বিটরুট ৬০ টাকা ও শসা ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বেগুন ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, করলা ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, পটোল ৮০ থেকে ৯০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, কচুর লতি ১২০ টাকা আঁটি, সাজনা ১৮০ টাকা, কাঁচামরিচ ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে লেবুর হালি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, ধনেপাতা এক আঁটি ১০ টাকা, লাল শাক ১০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৪০ টাকা, পালং শাক ১০ টাকা, কলমি শাক তিন আঁটি ২০ টাকা ও পুঁইশাক ২৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
এসব বাজারে আলুর দাম স্থিতিশীল রয়েছে। নতুন আলু ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে বগুড়ার লাল আলু ২০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে আদা ১০০ টাকা, রসুন দেশি ১০০ টাকা, দেশি মশুর ডাল ১২৫ টাকা, ছোলা ১০০ টাকা, খেসারির ডাল ১১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। চিনি ১২০ টাকা কেজি, সোয়াবিন তেল খোলা ১৬৫, বোতলজাত ১৭৫ টাকা লিটার বিক্রি হচ্ছে।
এসব বাজারে মিনিকেট চাল প্রকারভেদে ৮২ থেকে ৯২ টাকা এবং নাজিরশাইল ৮৪ থেকে ৯০ টাকা, স্বর্ণা ৬২ থেকে ৬৫ টাকা এবং ব্রি২৮ বিক্রি হচ্ছে ৭২ থেকে ৭৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সাহেব বাজারের ক্রেতা আশরাফুল ইসলাম বলেন, প্রতি সপ্তাহে কোনো না কোনো পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে, এতে সংসার চালানো কঠিন হয়ে উঠেছে।