সিদ্ধিরগঞ্জে সাবেক ছাত্রদল নেতার মামলা বানিজ্য


সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি :
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সাবেক ছাত্রদল সভাপতি আব্দুল কাদির জিলানী হিরার বিরুদ্ধে মামলা বানিজ্যের মাধ্যমে অসহায় ও সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার  অভিযোগ পাওয়া গেছে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক  ভুক্তভোগীরা জানান গত জুলাই আগষ্টের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে সংঘটিত বিভিন্ন হত্যা মামলায় সাধারণ কিছু লোকের নাম অন্তর্ভুক্ত করে সেই মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়ার কথা বলে তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা দাবি করে, চাহিদা অনুযায়ী টাকা না পেলে পুনরায় আরোও মামলা দেয়ার হুমকি প্রদান করে,বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে নারায়ণগঞ্জের এক সমন্বয়ককে সহযোগীতায় সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লা থানায় একাধিক মামল করিয়েছেন এই হিরা, ঐ সমন্বয়কের কাছে সরাসরি গিয়ে জানতে চাইলে সে বলে আমাকে হিরা বলেছে মামলায় যাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তারা সবাই স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগের দোসর কিন্তু আমি যানতামনা এখানে সাধারণ, নিরীহ লোকের নাম দেয়া হয়েছে,হিরা ছিলো সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ছাত্রদলের সভাপতি তাই ওনি যে নাম গুলো লিস্ট করে দিয়েছেন সেই নামগুলোই মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, এখানে মেইন  কালপিট হচ্ছে হিরা, তাই আপনারা ওনাকে জিজ্ঞেস করতে পারেন,পরবর্তীতে হিরার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও সে ফোন রিসিভ করেনি। এমতাবস্থায় সাধারণ নিরীহ মানুষের মনে মামলা, হামলার আতংক বিরাজ করছে প্রতিনিয়ত, স্থানীয়রা জানান জুলাই আগষ্টের পরে মামলা বানিজ্যের মাধ্যমে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হেয়েছেন এই হিরা। কেউ প্রতিবাদ করলে অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে হতেহয় হামলা, মামলা ও নির্যাতনের স্বীকার তাই ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে পারছেনা বলেও জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। সিদ্ধিরগঞ্জের আলোচিত মশু হত্যা মামলার আসামী মোকলেছ ওরফে মাউচ্ছা মোকলেছের ছেলে, এই সাবেক ছাত্রদল সভাপতি আব্দুল কাদির জিলানী হিরা। স্থানীয়রা জানান সিদ্ধিরগঞ্জ ৪  নং ওয়ার্ড আটি সরকার বাড়ির মোঃ ইদ্রিস আলীর ছেলে মোঃ মোকসেদ আলী মশু কে ১৯৯৫ সালে পারিবারিক দন্ডের কারনে হত্যা করে দীর্ঘদিন জেল হাজতে থাকার পর জামিনে এসে টাকার বিনিময়ে বাদীর সাথে আপোষ করে মামলা ওঠিয়ে নেয়। এলাকার স্থানীয়রাসহ ভুক্তভোগী একাধিক  পরিবার জানান বিলুপ্ত হওয়া বিএনপির সাবেক এই ছাত্রনেতা কোনো রকম পদ পদবী ছাড়াই যদি নিরীহ সাধারণ মানুষকে এই ধরনের হামলা,মামলা, নির্যাতন ও হয়রানি মূলক কর্মকাণ্ড করে তাহলে ভবিষ্যতে কমিটিতে কোনো উচ্চ পদে অধিষ্ঠিত হলে হয়তো ঐসকল ভুক্তভোদের সংখ্যা যেমন বৃদ্ধি পাবে অন্যদিকে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে বলে এখনি কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন