টাঙ্গাইলে দেবরের দায়ের কোপে প্রাণ গেল ভাবির

 


টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে আনন্দ সরকার নামে এক যুবকের ধারাল দায়ের কোপে মারা গেছেন মিতু সরকার নামে এক গৃহবধূ। তারা সম্পর্কে দেবর-ভাবি। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত আনন্দ সরকারকে আটক করেছে।

বুধবার (৫ মার্চ) বিকেলে উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের ইচাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। দায়ের কোপে আহত হয়েছে নারীসহ আরও ৬ জন। আহতদের মধ্যে ২ জনকে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নিহত মিতু সরকার (৩৬) উপজেলার ইচাইল গ্রামের রনজিত সরকারের স্ত্রী। তাদের সংসারে একটি ছেলে ও মেয়ে সন্তান রয়েছে। ঘাতক আনন্দ সরকার (২৮) একই গ্রামের নিমাই সরকারের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মোটরসাইকেল গ্যারেজ শ্রমিক আনন্দ সরকার গত কয়েকদিন ধরে বাড়ির কারও সঙ্গে কথা না বলে চুপচাপ ছিল। বুধবার বিকেলে বাড়িতে গিয়ে মায়ের নিকট দা চায়। দা হাতে পেয়ে মাকে কোপাতে যায়। মায়ের চিৎকার শুনে যে এগিয়ে আসে তাকেই এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। দায়ের কোপে প্রতিবেশী ভাবি দুই সন্তানের জননী মিতু সরকার ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।

এ সময় তার দায়ের এলোপাতাড়ি কোপে তার বাবা নিমাই সরকার (৫৫), মা মিষ্ট রানি সরকার (৪৫), প্রতিবেশী দুলাল সরকার (৫৫), দিগেন সরকার (৫০), দিপা সরকার (২৫) এবং সুমা সরকার (২৭) আহত হয়। আহতদের মধ্যে দুলাল সরকার এবং দিগেন সরকারকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার ওসি মোশারফ হোসেন বলেন, হত্যার কারণ জানা যায়নি। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার মূলহোতাকে আটক করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর হয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন