নিকলীতে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা



মোঃ হাবিব মিয়া, হাওরাঞ্চল (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি


কিশোরগঞ্জের নিকলীতে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকাল ১১ টায় উপজেলা পরিষদ কনফারেন্স রুমে নিকলী উপজেলা প্রশাসন আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

নিকলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার পাপিয়া আক্তার এর  সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইউ ডি এফ দূর্গা রানী সাহা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রতীক দত্ত, উপজেলা কৃষি অফিসার সাখাওয়াত হোসেন, নিকলী থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী আরিফ উদ্দিন,উপজেলা মৎস অফিসার মোহাইমিনুল ইসলাম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার
মোঃ আলতাফ হোসেন, একাডেমি সুপারভাইজার আরাধন কুমার দেব,যুব উন্নয়ন অফিসার জে. এম সেলিম রেজা, উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ মোঃ রুস্তম আলী, উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম আশিকুর রহমান, তথ্য সেবা কর্মকর্তা তাসলিমা ফেরদৌসী, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার কফিল উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধকালীন কমেন্ডার ও নিকলী উপজেলা সাবেক কমেন্ডার মোজাম্মেল হক আবির , বীর মুক্তিযোদ্ধা চান্দলি মেম্বার, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি, উপজেলা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রধান ,সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

বক্তারা বক্তব্যে বলেন,আজ ভয়াল ২৫ মার্চ, জাতীয় গণহত্যা দিবস। বাঙালি জাতির জীবনে ১৯৭১ সালের এইদিন শেষে এক বিভীষিকাময় ভয়াল কালরাত নেমে এসেছিল।
ওইদিন মধ্যরাতে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের পূর্ব পরিকল্পিত 'অপারেশন সার্চ লাইট'র নীলনকশা অনুযায়ী বাঙালি জাতির কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেওয়ার ঘৃণ্য লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
বাঙালির স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা মুছে দেওয়ার চেষ্টায় ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ গণহত্যা শুরু করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। তারপর নয় মাসের সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এসেছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে ব্যাপক গণহত্যা চালিয়ে বাঙালি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী যে সশস্ত্র অভিযান পরিচালনা করে, তারই নাম দেওয়া হয়েছিল 'অপারেশন সার্চলাইট'।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন