নাম তার প্রিন্স! দাম তার ১৫ লাখ, ওজন ৩০ মণ

 


চলনে বলনে ভাবটা যেন এক রাজপুত্রের মতো। শরীরটা পুরোটাই সাদা ধবধবে। ওজন ৩০ মণ। ধবধবে সাদা পাহাড়ের মত দেখতে ষাঁড়ের নাম ‘প্রিন্স’- বলছিলাম রাজবাড়ী জেলার মধ্যে চলতি বছরের সবচেয়ে বড় ষাঁড় গরু প্রিন্সের কথা। ষাঁড়টির দাম হাঁকানো হয়েছে ১৫ লাখ টাকা।

রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার মাছপাড়া ইউনিয়নে প্রিন্সের বসবাস। ধবধবে সাদা আর পাহাড়ের মত আকৃতি হওয়ায় অনেকে ষাঁড়টিকে ‘সাদা পাহাড়’ নামেও ডাকছে।

৩০ মণ ওজনের এ ষাঁড়টি ১৫ লাখ টাকায় বিক্রির আশা করছেন মালিক প্রশান্ত কুমার দাস ও ভারতী রানী দাস দম্পতি। প্রতিদিনই বিশাল আকৃতির এ গরুটি দেখতে দূরদূরান্ত থেকে আসছে দর্শনার্থী।

আর প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তারা বলছেন, এমন বড় গরুতে ঝুঁকি নিতে হয় বেশি। এ জাতীয় গরুর ক্ষেত্রে রয়েছে আলাদা যত্ন।


প্রিন্সের মালিক খামারি প্রশান্ত কুমার দাস বলেন, তিন বছর আগে কুষ্টিয়ার বালিয়াপাড়া হাট থেকে ফ্রিজিয়ান জাতের এ গরুটিকে দেড় লাখ টাকায় কিনে আনেন। নিজের সন্তানের মতো আদর আর ভালোবাসায় যার নাম দিয়েছিলেন ‘প্রিন্স’। সেই প্রিন্সের এখন ওজন হয়েছে ৩০ মণ। গম, ছোলা, চালের গুড়া, আলু ও ঘাস খাইয়ে দেশীয় পদ্ধতিতে লালনপালন করা গরুটি দাম চাওয়া হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা।

খামারি প্রশান্ত কুমার দাসের সহধর্মিনী ভারতী রানী দাস বলেন, আমরা স্বামী-স্ত্রী মিলে ছোট একটি গরুর খামার করেছি। সেখানে কোরবানির জন্য ত্রিশটি গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি গরু সবচেয়ে বড় ও শান্ত স্বভাবের। ওকে কিনে আনার পর ওর প্রতি আমাদের একটু বাড়তি ভালোবাসা কাজ করেছে। এরই মধ্যে জেলার সবচেয়ে বড় গরু হিসেবে যার নাম ছড়িয়েছে পুরো জেলায়। তাই অধিক আগ্রহে একনজর গরুটি দেখতে দূরদূরান্ত থেকে আসছেন দর্শনার্থীরা।

বিশাল আকৃতির এ গরুটি দেখতে আশা দর্শনার্থী ইসলাম সরদার বলেন, বিশাল আকৃতির এতো বড় ষাঁড় এর আগে কখনও দেখিনি। গো-খাদ্যের অনেক দাম খুব কষ্ট করে গরুটিকে তিন বছর যাবৎ লালনপালন করে এখন বিক্রি উপযোগী হয়েছে। তাই গরুটির জন্য উপযুক্ত দাম প্রয়োজন যাতে খামারি লাভবান হন।

রাজবাড়ী জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা প্রকাশ রঞ্জন বিশ্বাস জানান, এমন বড় গরুতে ঝুঁকি নিতে হয় বেশি। গরমে যাতে বড় গরুর সমস্যা না হয়, সে জন্য বাড়িতে যত্ন নেওয়া ও খাবারে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছি।

তিনি আরও জানান, জেলায় আসন্ন ঈদুল আযহায় কোরবানির জন্য ৫৫ হাজার ৭৫০ টি পশুর চাহিদা রয়েছে। আর কোরবানির উপযোগী ৮৯ হাজার ৫৬৬টি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। ফলে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে অন্তত ৩৩ হাজার ৮১৬টি পশু দেশের বিভিন্ন এলাকার কোরবানির পশুর হাটে পাঠানো যাবে। এ বছর জেলার ৭ হাজার ৭০৮টি ছোট বড় খামারে কোরবানির পশু প্রস্তুত করা হয়েছে।


 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন