সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন কদমতলী এলাকায় এক গৃহবধূকে জোরপূর্বক ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি লিটন (ওরফ) লিটা (৩০) কে গ্রেফতার করেছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শাহিনুর আলমের নেতৃত্বে পরিচালিত বিশেষ অভিযানে শনিবার (১৭ মে) আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
ভুক্তভোগী রিয়া (২০) ও তার স্বামী সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী এলাকার নাজমুলের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন,একই এলাকা পাশে কদমতলি কলেজপাড়া এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা, স্বর্ণকার জাহাঙ্গীর মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া ছিলো ধর্ষক লিটন।
জানাযায় নিহত দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মোঃ লিটন এলাকায় একজন চিহ্নিত বখাটে হিসেবে পরিচিত ছিল।
অভিযোগে বলা হয়, লিটন প্রায়ই ঐ গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব ও অশ্লীল কথাবার্তা বলতো,গৃহবধূ তাকে পাত্তা না দিয়ে এড়িয়ে চলতেন,গত ১৪ মে ভোর ৫টার দিকে তার স্বামী ঘুম থেকে ওঠে নাস্তা আনার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হলে, সে সুযোগে লিটন বাসায় ঢুকে পড়লে,
গৃহবধূ চিৎকার শুরু করলে, লম্পট লিটন তার মুখ চেপে ধরে হুমকি দিয়ে বলে, কোন শব্দ করলে তোকে প্রাণে মেরে ফেলব।
এরপর ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং কাউকে কিছু জানালে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করার পর পরই লিটন পালিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়।
পরে ঐ গৃহবধূ নিজে বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এর (২০০০ ও সংশোধনী ২০০৩) এর ৯ এর - ১ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার পরপরই সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জসহ পুলিশের একটি বিশেষ টিম অভিযানে নামে এবং ১৭ মে কদমতলী এলাকা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।
এ বিষয়ে ওসি শাহিনুর আলম জানান, আমরা বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি কারণ কোন ধর্ষণকারীকে ছাড় দেওয়া হবে না। তাই মামলার করার সাথে সাথেই আমরা আসামিকে গ্রেফতার করেছি।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের এই তৎপরতা ও সাফল্যের জন্য এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবার পুলিশ প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।