আব্দুল আলিম, সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি : সারা দেশে চলছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। প্রশ্নফাঁস এড়াতে কোচিং বন্ধের সরকারি নির্দেশনা বহাল রয়েছে। এমন নির্দেশনাকে বৃদ্ধাআঙ্গুলি দেখিয়ে নওগাঁর সাপাহার উপজেলার প্রান কেন্দ্র পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র টিতে দিনে পরিক্ষা, রাতে চলে রমরমা কোচিং বাণিজ্য।
এদিকে উপজেলা প্রশাসন থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। তাতে বলা হয়েছে প্রতিটি পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগের দিন থেকে পরীক্ষার দিন পরীক্ষা শেষ হওয়া পর্যন্ত, উপজেলার সকল পরীক্ষা কেন্দ্রের আশপাশের কোচিং সেন্টার; কম্পিউটার ও ফটোকপি মেশিনের দোকানসমূহ বন্ধ রাখতে হবে।
অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ৷ প্রশাসনের এমন নির্দেশনা ব্যত্তয় দেখা গিয়েছে উপজেলার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে।
জানা গেছে, দীর্ঘ দশ মাস বন্ধ থাকার পর গত ৩ মে চালু হয়েছে কোচিং বাণিজ্য। সন্ধ্যা নামলেই একে একে দল বেঁধে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। সকলে বিদ্যালয়ে প্রাইভেট ও এক্সট্রা ক্লাসের জন্য আসেন৷ এসব ক্লাসে প্রতিষ্ঠানের এসএসসি পরিক্ষার্থীরাও কোচিং করছেন৷
আমিনুল ইসলাম নামে একজন অভিভাবক বলেন, চলতি মাসের ৩ তারিখ হতে পাইলটে কোচিং চালু হয়েছে। আমার মেয়েকে আমি সেখানে কোচিং করাই না, আমি বাইরে পড়াই। স্কুলে অন্যন্য ৭০-৮০জন স্টুডেন্ট নিয়ে কোচিং চলছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিভাবক জানান, মূলত এসএসসি ও এইচএসসি পরিক্ষার সময় সারাদেশে কোচিং বন্ধ থাকে। কিন্তু পাইলট পরিক্ষা কেন্দ্রে সারাদিন পরিক্ষা হলেও রাতে কোচিং করানো হয়। প্রধান শিক্ষক একক সিদ্ধান্তে অন্যান্য শিক্ষকদের দিয়ে কোচিং করাচ্ছে। এটাতো নিয়ম বর্হিভূত, আমরা চাই পরিক্ষা চলাকালিন সময়ে কোচিং বন্ধ থাকুক।
এ বিষয়ে সাপাহার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাজেদুল আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, না আমরা ঐভাবে কোচিং করাচ্ছি না, সন্ধ্যার পর পরিক্ষার্থী ছেলেদের একটু পাঠদান করাচ্ছি আগায়া নেওয়ার জন্য আরকি। সরকারি নির্দেশনায় পরিক্ষার সময় কোচিং বন্ধ রাখার প্রশ্ন রাখতেই তিনি উল্টো সুরে বলেন, না না আমরা সরকারি সব নির্দেশনা মেনে চলি, তারা পরিক্ষার্থী না আমাদের বিদ্যালয়ের ছোট ছোট ছেলে গুলো কে পড়াই, সিলেবাসের ঘাটতি মেটানোর জন্য।
সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেলিম আহম্মেদ বলেন, আমাদের উপজেলা প্রশাসন থেকে পরিক্ষা চলাকালীন সময়ে কোচি, আশেপাশের ফটোকপি দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তারপরেও কেউ যদি তা অমান্য করে তবে আমি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিব।
নওগাঁ জেলা শিক্ষা অফিসার শাহাদৎ হোসেন বলেন, এসএসসি পরিক্ষা শুরু হওয়ার আগে থেকেই তো কোচিং বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সাপাহার পাইলট স্কুলে কোচিং করানোর বিষয়টি জানিনা তবে আমি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উদ্দ্যোগ নিবো।
এদিকে কর্তারা খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাসবানী শোনালেও প্রতিনিয়ত সন্ধ্যা নামলেই নিয়ম করে কেন্দ্র টিতে চলছে কোচিং বাণিজ্য। কবে নিবে ব্যবস্থা ? নাকি চলবে রমরমা কোচিং বানিজ্য ? প্রশ্ন অভিভাকসহ সচেতন মহলের।