আব্দুল জলিল, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরার কুশখালী সীমান্ত দিয়ে পুশইন করা নারী ও শিশুসহ ২৩ বাংলাদেশীকে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের জন্য কুড়িগ্রাম পুলিশ লাইনে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে সাতক্ষীরা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) ইমরান হোসেন সদর থানা থেকে তাদেরকে একটি বাসে উঠিয়ে দেন।
স্বজনদের কাছে পাঠানো বাংলাদেশী নাগরিকরা হলেন, কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি উপজেলার চন্দখানা গ্রামের জাবেদ হোসেন (৫০), তার স্ত্রী শিউলি বেগম (৪২), তাদের পুত্র যথাক্রমে সুমন (২৪), নুর আলম (২০) ও সজীব মিয়া (৭), একই এলাকার সুমন মিয়ার স্ত্রী খুশী বেগম (১৯) ও নুর আলমের স্ত্রী সম্পা খাতুন (১৮), একই জেলার ভুরুখামারী থানার কামাত ভান্ডারিয়া গ্রামের মোশারফ হোসেন (৩৫), তার স্ত্রী লাইলি বেগম (২৭), তাদের কন্যা মোর্শেদা খাতুন (১১), মিম খাতুন (৭) ও পুত্র লুৎফর রহমান লাবিব (২), একই জেলার নাগেশ^র উপজেলার মোক্তারকুটি গ্রামের আব্দুল মান্নাফ (৪৫), তার স্ত্রী আঞ্জুয়ারা খাতুন (৩৫), তাদের কন্যা সুমাইয়া খাতুন (১২) ও পুত্র আব্দুল্লাহ (৯), একই জেলার ফুলবাড়ি উপজেলার বড়ভিটা গ্রামের মজিবর রহমান (৪০) ও তার স্ত্রী মোর্শেদা বেগম (৩১), একই উপজেলার চন্দ্রখানা গ্রামের তাজুল ইসলামের স্ত্রী স্বপ্না বেগম (২৭), তাদের পুত্র শফিরানা (১০), শাকিল (৬) ও কন্যা দুলালী (৩) এবং ঝালকাঠি জেলা সদরের দারকি গ্রামের আব্দুল কাইয়ুম (৪৯)।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (২৭ মে) ভোর রাত ৫ টার দিকে ভারতীয় বিএসএফ’র কৈজুরী ক্যাম্পের সদস্যরা সাতক্ষীরার কুশখালী সীমান্ত দিয়ে নারী ও শিশুসহ উক্ত ২৩ বাংলাদেশীকে নাগরিককে পুশইন করে। এদের মধ্যে ৭ জন পরুষ, ৭ জন নারী ও ৯ জন শিশু। এসময় কুশখালী সীমান্তে টহলরত বিজিবি সদস্যরা তাদেরকে আটক করে। পরে সকালে তাদেরকে সাতক্ষীরাস্থ বিজিবি ৩৩ ব্যাটেলিয়ন সদর দপ্তরে পাঠায়। এরপর বিকালে তাদেরকে সদর থানায় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আজ সকালে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের জন্য একটি বাসযোগে কুড়িগ্রাম পুলিশ লাইনে পাঠানো হয়।
সাতক্ষীরা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান হোসেন জানান, ভারতীয় বিএসএফ কর্তৃক পুশইনকৃত ২৩ বাংলাদেশী নাগরিকের নাম-ঠিকানা যাচাই-বাছাই করে দেখা যায় তারা সবাই বাংলাদেশী নাগরিক। তাদের মধ্যে ২২ জনের বাড়ি কুড়িগ্রামে ও ১ জনের বাড়ি ঝালকাটিতে। কুড়িগ্রাম যেহেতু সাতক্ষীরা থেকে অনেক দূরে এজন্য একটি বাস যোগে করে তাদেরকে কুড়িগ্রাম পুলিশ লাইনে পাঠানো হচ্ছে। সেখান থেকে কুড়িগ্রাম পুলিশের মাধ্যমে তাদেরকে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এ সময় সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শাহিনুর চৌধুরী , সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শামিনুল হক ও সদর থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ শফিকুল ইসলাম।