![]() |
আহত রিপন মিয়া ও দা হাতে যুবলীগ নেতা আশরাফুল। ছবি : ডেইলি নিউজ বিডি/প্রতিনিধি |
স্টাফ রিপোর্টার, মুরাদনগর (কুমিল্লা) :
কুমিল্লার মুরাদনগরে যুবলীগ নেতার দায়ের কোপে ৩জন আহত, এর মধ্যে ১জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
শুক্রবার সকাল ১০টা ১৫ মিনিটের দিকে মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন শ্রীকাইল ইউনিয়নের পিপড়িয়া গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন সিজিল মিয়ার ছেলে রিপন মিয়া(৩৫), ময়নাল হোসেন(৩৭), হেলাল খন্দকারের ছেলে শাহীন খন্দকার(৩৩) । অভিযোক্ত আশরাফুল ইসলাম (৩৫) পিপড়িয়া গ্রামের হাসেম ব্যাপারীর ছেলে এবং শ্রীকাইল ইউনিয়ন যুবলীগের ২নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক।
আশরাফুলের সঙ্গে শাহিন খন্দকারের পূর্ব থেকে বিরোধ চলছিল। এর জেরে কিছুদিন আগে শাহিন খন্দকারকে মারধর ও হুমকি দেয়। রিপন মিয়া শাহিন খন্দকারের সঙ্গে চলাফেরা করায় তার উপর ক্ষিপ্ত হয়।
ঘটনার দিন রিপন মিয়া তার ভাই শাহজালালের অটোরিক্সা নিয়ে স্ত্রী ও ছেলেসহ রামচন্দ্রপুর বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হন। বাঙ্গরা বাজার থানাধীন শ্রীকাইল ইউপির সল্পা প্রভা ব্রিক ফিল্ডের পশ্চিমে পাকা রাস্তার উপর পৌঁছালে পূর্ব থেকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অবস্থানরত আশরাফুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা রিপন মিয়ার পথরোধ করে অটোরিক্সা আটকায়।
রিপন মিয়া প্রতিবাদ করলে আশরাফুলরা তাকে অটোরিক্সা থেকে নামিয়ে এলোপাথাড়িভাবে ঘুষি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে এবং হাতে থাকা ধারালো দা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে রিপনকে এলোপাথাড়িভাবে কোপাতে থাকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রিপনের সারা শরীরে প্রায় ১৯টি কোপের চিহ্ন রয়েছে। এলাকাবাসী আশরাফুল ইসলামকে দা সহ আটক করে থানায় খবর দেয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে আশরাফুলকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।
আহত রিপন মিয়াকে প্রথমে মুরাদনগর উপজেলা কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার শেষে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে । এবং আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরবর্তীতে সেখান থেকে পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। মোঃ আল আমিন (৪৩) বাদী হয়ে যুবলীগ নেতা আশরাফুল ইসলামকে প্রধান আসামী করে মোট সাতজনের নামে বাঙ্গরা বাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মাহফুজুর রহমান বলেন, মারামারির ঘটনায় এলাকাবাসী প্রধান আসামীকে দা সহ আটক করে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে আসে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে এবং প্রধান আসামীকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।