মুরাদনগরে সন্ত্রাসীদের হুমকিতে অবরুদ্ধ একটি পরিবার

 


মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি :

হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় সোমবার রাতে কুমিল্লার বাঙ্গরা বাজার থানায় ৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৩ জন  সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধ মামলা হয়েছে। মামলার খবর শুনে সন্ত্রাসীরা আরো  বেপরোয়া হয়ে ওঠছে। পরিবার পরিজন নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ইশরাত জেবিনের অসহায় পরিবার। সন্ত্রাসীদের হুমকি-ধমকির ভয়ে চরম আতংক ও উৎকন্ঠার মধ্যদিয়ে দিন কাটছে তাদের।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন  শ্রীকাইল ইউনিয়নের পিপড়িয়া গ্রামে এক নারকীয় তান্ডব চলছে।

 তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে  হাশেম ব্যাপারীর ছেলে আশরাফুল ইসলামর সাথে তর্ক-বিতর্ক ও হাতাহাতি হয়। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে  একই গ্রামের হেলাল খন্দকারের ছেলে  সন্ত্রাসী শাহিন খন্দকার নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী গত ১২ জুন বহস্পতিবার দুপুর আনুমানিক সাড় ১১টায় দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে আশরাফুলদের বাড়িতে গিয়ে চেঁচামেচি করতে থাকে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় আশরাফুলের ভাবি ইশরাত জেবিনের উপর হামলা চালায়। মাকে রক্ষা করতে এসে তার আরো ৩মেয়েও সন্ত্রাসীদের হামলা ও শ্লীলতাহানির স্বীকার হন। এ সময় সন্ত্রাসীরা ইশরাত জবিনের ডান হাত ভেঙ্গে স্বর্ণালংকার নিয়ে যায় এবং বাড়িতে থাকা ডেকোরেশনের মালামাল ভাংচুর করে।এ ঘটনায় ইসরাত জেবিন বাদী হয়ে সন্ত্রাসী শাহিন খন্দকার সহ ৭  জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞা আরো ৩ জনের বিরুদ্ধে সোমবার রাতে একটি মামলা করেছেন।
মামলার বাদী ইশরাত জেবিন বলেন, প্রকৃত ঘটনা ধামাচাপা দিতে প্রতিপক্ষের আল-আমিন কর্তৃক পাল্টা মামলা দিয়ে তাদেরকে হয়রানি করা হচ্ছে। স্ত্রাসীদর ভয়ে তারা বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না। রাস্তায় ওঠামাত্রই সন্ত্রাসীরা গালমন্দ ও তর্ক-বিতর্ক করতে এগিয় আসে। এ
 ঘটনার তদন্ত করতে আসা পুলিশের সামনেই সন্ত্রাসীরা আমাদেরকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। 
এ বিষয় কথা বলার জন্য অভিযুক্ত শাহিন খন্দকারের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও মোবাইল ফোন রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মাহফুজুর রহমান বলেন, পিপড়িয়ার ঘটনায় দু’টি মামলা হয়েছে। অহেতুক কেউ হয়রানির শিকার হবে না। উভয় পক্ষকেই বলা হয়েছে, নতুন করে কেউ কোন সমস্যার সৃষ্টি করলে আমাকে তাৎক্ষনিক ফোন দিতে বলছি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন