কুমিল্লার বাঙ্গরায় বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, এক লাখ টাকায় মিমাংসা জন্য হুমকি

প্রতীকী ছবি


হাফেজ নজরুল :
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার আন্দিকোট ইউনিয়নের জাড্ডা গ্ৰামের এক যুবকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক এবং ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২৪ জুন কুমিল্লার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ মামল দায়ের করেন ভুক্তভোগী।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, পাশ্ববর্তী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার ফতেপুর গ্রামের জাহের মিয়ার মেয়ে রাকিবা আক্তার (২৩) তাহার বড় বোন শেফালী বেগমের স্বামীর বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার জাড্ডা গ্ৰামে বেড়াতে আসেন‌। বোনের স্বামীর বাড়ির প্রতিবেশী দিদার মিয়ার ছেলে মোঃ ফাহিম মিয়া (২২) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রাকিবা আক্তারের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলেন। একপর্যায়ে গত ১৭/০৬/২০২৫ ইং রাতে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে এবং নারীর চিৎকারে প্রতিবেশীর এসে ফাহিম মিয়া কে বিবস্ত্র অবস্থায় আটক করেন। তাৎক্ষণিক ঐ রাতে দুজনের মধ্যে বিয়ের করানো হবে আশ্বাস দিয়ে ফাহিম মিয়াকে তার পরিবারের জিম্মায় নিয়ে যায়। কিন্তু ঘটনার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও বিয়ের আয়োজন না করে উল্টো ফাহিম মিয়া কে পরিবারের লোকজন অন্যত্রে পাঠিয়ে দেয়। ভিকটিম রাকিবা আক্তারের বোন শেফালী বেগম ও তাঁর স্বামী শরীফ মিয়াকে এই বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে এলাকার প্রভাবশালীরা হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছেন। পরবর্তী ঘটনার সুবিচার পেতে ভিকটিম রাকিবা আক্তার বাদী হয়ে ২৪ জুন আদালতে মামলা দায়ের করেন। 

ভিকটিম রাকিবা আক্তারের বোন শেফালী বেগম জানান, আমরা দরিদ্র পরিবার, ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে এলাকার সাহেব সর্দাররা আমাকে হুমকি দিচ্ছেন। প্রথমে পঞ্চাশ হাজার ও এক লাখ টাকায় মিমাংসা করতে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। আমার বোনের সাথে যা হয়েছে তার সঠিক বিচার চাই। 

বাদীর আইনজীবী এড: জসিম উদ্দিন বলেন, মামলাটি তদন্তের জন্য বিজ্ঞ বিচারক জেলা ডিবি কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। বিবাদীর সাথে যোগাযোগ করে তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। 

বাঙ্গরা বাজার থানা ওসি মাহফুজুর রহমান জানিয়েছেন, মামলা তুলে নিতে বাদী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ভয়ভীতির কোন অভিযোগ থানায় কেউ করেনি। অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন