অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, হাজিপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের কুখ্যাত সন্ত্রাসী কয়েকডজন মামলার আসামি মঞ্জু ওরফে ইয়াবা বলির নেতৃত্ব ২৫ থেকে ৩০ জন সন্ত্রাসী দেশি-বিদেশি অস্ত্র নিয়ে ফাঁকা গুলি ছুড়ে বাড়িতে ঢুকে বাবলুকে না পেয়ে অস্ত্রের মুখে বাড়ির মহিলাদের জিম্মি করে ব্যাপক লুটপাট চালায়। লুটপাটে বাড়িতে থাকা নগদ ৪লক্ষ টাকা, ২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল, চার্যার নিয়ে ফিল্মি কায়দায় আবার ফাঁকা গুলি করে চলে যাওয়ার সময় আবারও হামলার হুমকি দিয়ে যায়।যাওয়ার সময় সন্ত্রাসী মঞ্জু ওরফে ইয়াবা বলি ৬ রাউন্ড গুলির পয়সা ফেরত দিতে হুমকি দিয়ে বলে, " আমার খরচাকৃত গুলির পয়সা আমার বাসায় গিয়ে পৌঁছে দিবি"।
উপস্থিত একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী এই প্রতিবেদককে জানান, হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্রগুলো মধ্যে পিস্তল ও সর্টগানের মতো মনে হয়েছে। এবং তাদের ধারণা অস্ত্রগুলো পুলিশের ব্যবহৃত অস্ত্রের মতো। এর আগে বাদি মাহফুজের ফুফাতো ভাই বাবলুকে ১ লক্ষ টাকার চাদার দাবিতে ওই সন্ত্রাসী গ্রুপটি অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে স্হানীয় এলাকাবাসীর সহায়তায় ১৫হাজার টাকা দিয়ে নিয়ে আসে।
এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে নানানভাবে চাঁদা চেয়ে আসছিলো পরিবারটির কাছে। চাহিদার বিপরীতে চাঁদা দিতে ব্যর্থ হলে হামলা করতো ওই সন্ত্রাসী গ্রুপটি।ভুক্তভোগী পরিবারের এখন একটাই দাবি সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধে পুলিশ যেনো তাদের পাশে এসে দাঁড়ায়। হামলা আতঙ্কে বাড়ি-ঘর ছাড়া বাদি মাহফুজুর রহমান রানা ও বাবলু জীবনের নিরাপত্তায় প্রশাসনের দ্বারেদ্বারে ঘুরছেন।শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গত ২৫মে হামলার ঘটনার পর থেকে ২৭মে বিকাল পর্যন্ত বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
বিষয়টি জানতে বেগমগঞ্জ থানার (ওসি) লিটন দেওয়ানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগে বলেন, গুলি এবং লুটপাটের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এই মামলর আই ও, এস আই কুতুবউদ্দিন লিয়নের সাথে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।
পরে এস আই কুতুবউদ্দিন লিয়ন জানান, ওই ঘটনার অভিযোগটি গত ২৬ মে বিকাল বেলায় পেয়েছি। ওখানে প্রাথমিকভাবে গুলাগুলির বিষয়টি জানতে পারি।বাদি মাহফুজুর রহমান রানার সাথে আমার যোগাযোগ অব্যাহত আছে। ২৮মে সকালে ঘটনাস্থলে যাওয়ার তথ্য উল্লেখ করেন এসআই লিয়ন।