নওগাঁয় জোরপূর্বক পুকুর দখল করে রাতে মাটি খননের অভিযোগ


এ.বি.এম.হাবিব (নওগাঁ) : নওগাঁয় কাগজ পত্রের তোয়াক্কা না করে জোরপূর্বক পুকুর দখল করে,  রাতের আঁধারে সেই পুকুর পাড় খনন করে মাটি বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

ঘটনাটি নওগাঁ সদর উপজেলার বক্তারপুর  ইউনিয়নের বাচারিগ্রামের। ঘটনাটি নিয়ে  ভুক্তভোগী একাধিকবার সমাধান চেয়েও কোন সুরাহা পাচ্ছেন না। গত ৪ মাস পূর্বে একই প্রক্রিয়াই মাটি খনন করে বিক্রি করলে প্রশাসনের নিকট অভিযোগ করলে, সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল। তবে আবারও প্রশাসনের সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তারা রাতের আধারে মাটি খনন করে,মাটি বিক্রি করে আসছে।

যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা হলো- খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নওগাঁ সদর উপজেলার বাচারিগ্রামের আতোয়ার রহমান তরফদার ও মজিবর রহমান স্বত্ব দখলীয় তফসীল সম্পত্তি এসএ খতিয়ান নম্বর ৫৩১,আরএস ৪৯৮,সাবেক ১৪২৮,হাল ১৬৩৯ দাগে দীর্ঘদিন ধরে পুকুর চাষ করে আসছেন। আতোয়ার রহমান তরফদার মারা যাবার পরে তার ছেলে আসলামুজ্জামান পলাশ ও অন্যসব ভাইবোন সহ  উক্ত সম্পত্তি ভোগদখল করে আসছেন। তারা সবাই ঢাকায় বসবাস করেন। যার কারনে ৫ আগষ্ঠের পর হঠাৎ অভিযুক্ত গোলাম সরোয়ার তুহিন ও তার ছেলে গোলাম সিফাত পুকুরে মাছধরাসহ মাছের পোনা ছেড়ে পুকুরটি দখলে নেওয়ার পায়তারা করে আসছেন। সেই সাথে রাতের আঁধারে ভেঁকু মেশিন দিয়ে পুকুরের পাড় কেটে মাটি ও বিক্রি করেন। পলাশের লোকজন এমন ঘটনায় বাঁধা দিলে অভিযুক্তরা তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা চালানোর চেষ্টা করলে তারা প্রাণের ভয়ে চলে যান। বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী পলাশ এসিল্যান্ড ও থানা পুলিশকে অবহিত করলে ঘটনাস্থলে গিয়ে সকল ধরনের কার্জক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় এসিল্যান্ড। বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকলেও পূনরায় গত ১৮ জুলাই থেকে আবার রাতের আঁধারে মাটি খনন করে আসছে। এবিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী নওগাঁ সদর থানায় একটি অভিযোগ সহ এসিল্যান্ডকে অবহিত করলে করেন। এসিল্যান্ড জানান,খবর পেয়ে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে গত রাতেই।  যদি তারা আদেশ অমান্য করে, তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

স্থানীয় বাসিন্দা জুয়েল, আব্দুল খালেক শাহাজাহান আলীসহ বেশ কয়েকজন বলেন,এই পুকুর ও জায়গা আসলামুজ্জামান পলাশদের পৈত্তিক সম্পত্তি। তবে বেশ কিছুদিন থেকে গোলাম সরোয়ার তুহিন ও তার ছেলে গোলাম সিফাতসহ কয়েকজন দখল করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এবং পুকুর পাড়ের মাটি কেঁটে বিক্রি করছে। এটা মোটেও ঠিক না। এর একটা সঠিক সুরাহ হওয়া উচিত।

ভুক্তভোগী আসলামুজ্জান পলাশ বলেন, এই সম্পত্তি আমাদের পৈতৃক, বহু বছর থেকে আমরা ভোগদখল করে আসছি এবং আমাদের দখলে রয়েছে। জমির সকল বৈধ কাগজপত্রও আমাদের নামে। কিন্ত তারা জোরপূর্বক দখল করে রাতের আঁধারে ভেঁকু মেশিন দিয়ে মাটি খনন করে বিক্রি করছে । এই বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনে শরণাপন্ন হলে কোন স্থায়ী সমাধান পায়নি। আমি এর সঠিক বিচারও স্থায়ী সমাধান চাই।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে গোলাম সিফাত বলেন,আমরা ১৯৫২ সালে সরকারের কাছ থেকে নিয়েছি,কেমন করে নিলেন,সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে সঠিক উত্তর সে দিতে পারে না।

এবিষয়ে নওগাঁ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) খান সালমান হাবীব বলেন.পুকুরটিতে মাটি বিক্রয়ের খবর পেয়ে তৎক্ষনাৎ কর্মকান্ড বন্ধ করা হয়েছে, আবারও যদি একই অপরাধ করে,তাহলে আমরা আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করবো।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন