রামপুরা, ঢাকা
নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর রামপুরা এলাকায় আবারও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কঠোর অবস্থানের পরিচয় পাওয়া গেল। ৪ আগস্ট রাতে পরিচালিত এক গোপন ও গোয়েন্দা তথ্যভিত্তিক অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে দুটি পিস্তল ও একটি ম্যাগাজিন। এই সফল অভিযান পরিচালনা করেন রামপুরা সেনা ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেজর সাদমান মানসুর, যার দক্ষ নেতৃত্বে অভিযানে অংশগ্রহণকারী সেনা সদস্যরা সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করেন।
অভিযানটি ছিল পূর্ব-পরিকল্পিত, নিরবিচারে ঝুঁকিপূর্ণ এবং নিখুঁত সমন্বয়ের এক উজ্জ্বল উদাহরণ। স্থানীয় সূত্র জানায়, সেনাবাহিনীর সদস্যরা অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সঙ্গে এলাকা ঘিরে ফেলে হঠাৎ করে অভিযান চালান। তাদের উপস্থিতি ছিল নিঃশব্দ, কিন্তু প্রভাব ছিল প্রবল।
সেনা সদস্যদের শৃঙ্খলা ও সাহসিকতা প্রশংসনীয়
মেজর সাদমান মানসুরের নেতৃত্বে পরিচালিত এই অভিযান শুধু অস্ত্র উদ্ধারেই সীমাবদ্ধ ছিল না—এটি ছিল একটি শক্ত বার্তা:
সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি এবং অস্ত্রধারী অপরাধীদের জন্য এই শহরে কোনো জায়গা নেই।"
সাধারণ মানুষ ও সুশীল সমাজ বলছেন,এই ধরনের নির্ভীক ও গঠনমূলক অভিযানের মাধ্যমে সেনাবাহিনী প্রমাণ করছে, তারাই দেশের আসল রক্ষক। শুধু যুদ্ধ নয়, দেশের ভেতরের অপরাধ মোকাবিলায়ও তারা অনন্য ভূমিকা রাখছে।"
অনেকেই মেজর সাদমান মানসুর ও তার টিমের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। এক স্থানীয় ব্যবসায়ী বলেন,
রাতে দোকান বন্ধ করে নিরাপদে ঘরে ফেরার নিশ্চয়তা আজ আমরা সেনাবাহিনীর কারণেই পাচ্ছি শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই ‘জিরো টলারেন্স’
সেনাবাহিনী সূত্র জানায়, দেশব্যাপী সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি নির্মূল করতে তারা ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে অটল রয়েছে। জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং অস্ত্র ও অপরাধ চক্র ভেঙে ফেলা তাদের অগ্রাধিকার।
মেজর সাদমান মানসুর এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে জানান,আমরা শান্তি ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা রক্ষায় সেনাবাহিনী সর্বদা প্রস্তুত।”
অভিযানের প্রশংসায় মুখর জনসাধারণ
স্থানীয়দের বক্তব্য অনুযায়ী, এই অভিযান রামপুরাবাসীর জন্য শুধু নিরাপত্তা নয়, আস্থার প্রতীকও হয়ে উঠেছে।
অনেকে বলছেন—
এ ধরনের নিয়মিত অভিযান হলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম একটি নিরাপদ সমাজ পাবে। মেজর সাদমান ও তার বাহিনীর প্রতি আমাদের সম্মান ও শ্রদ্ধা।”
উপসংহার:
এই অভিযানের মধ্য দিয়ে আবারও স্পষ্ট হলো—বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শুধু সীমান্তে নয়, দেশের প্রতিটি শহরেও অপরাধবিরোধী সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। এমন পেশাদার ও সাহসী নেতৃত্বের উদাহরণ জাতিকে গর্বিত করে।

